সব সম্পত্তি একাই ভোগ করার লালসায় কাটারি দিয়ে কুপিয়ে দাদা দিদিকে খুনের চেষ্টা করল বছর আঠাশের যুবক। ঘটনা শিয়ালদহের। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে তাঁরা। যদিও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে উভয়কেই। অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে ধৃতকেও।
সকাল তখন ১০ টা বেজে ৪০ মিনিট। রবিবাসরীয় সকালে যে সাক্ষাৎ মৃত্যুদর্শন হতে চলেছে ভাবতেও পারেনি জাস্টিস মন্মথ মুখার্জি রো’র বাসিন্দা অনির্বান খাসনবিশ ও তাঁর দিদি। এদিন আচমকাই তাদের ভাই সায়ক কাটারি নিয়ে ছুটে এসে তার দাদা ও দিদিকে লক্ষ করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন দুজনেই। দাদার হাতে ও কাঁধে কোপ লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
সায়কের এমন রুদ্রমূর্তি দেখে ভয় পেয়ে যান প্রতিবেশীরাও। তারাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই খুন করার চেষ্টা করে সায়ক। তাঁর দিদি জানায়, ছোট ভাই কিছুদিন ধরেই যখন তখন তাঁকে হুঁশিয়ারি দিত খুনের। দিদির কথায়, "ছোট ভাই কিছু করে না, বেকার। ওর দাবি, বাবার সব সম্পত্তি ওকেই লিখে দিতে হবে। আমরা কেউ কোনও ভাগ পাব না। বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হয়, এমনকী ও মারধরও করেছে। হুমকি দেয়, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করিয়ে দেবে। আমাকেও দু-একবার সুপারি কিলারের ভয় দেখিয়েছে।" তবে সত্যি সত্যিই যে ভাই এই কাজ করবে তা ভাবতেই পারেনি কেউ।
