বিকেলে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়ি গিয়েছিলেন তাঁরা। যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। মনে হয়েছিল সরাসরি গিয়ে কথা বলি। বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছাতেই আঁতকে ওঠেন তাঁরা। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে তখন। অন্যদিকে বান্ধবীর বাবা তখনও ঘরে। নির্বিকার চেহারার হাব-ভাব। কেন এমন ঘটল জানার আগেই কান্নাভেজা চোখ। এমন তরতাজা ফুটফুটে মেয়ের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি কেউই।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়ার কালীতলার। এখানেই বাবার সঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সুদেষ্ণা নস্কর নামে বছর আঠারোর একটি মেয়ে। বছর খানেক আগে সুদেষ্ণার মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এবার সুদেষ্ণার। গোটা ঘটনায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। অভিযোগের তির সুদেষ্ণার বাবার দিকে। সুদেষ্ণার মামার বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, নিজের মেয়েকে বাবাই খুন করেছে।
একাংশের অভিযোগ, সুদেষ্ণার বাবা অবিনাশ নস্করের একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। যে কারণেই নাকি সুদেষ্ণার মা মারা যান। এদিকে সুদেষ্ণার মা তার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা জমিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। সেই টাকা হাতাতেই নাকি এই ঘটনা। যদিও প্রকৃত ঘটনা জানতে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদের উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এমন একটা ফুটফুটে মেয়ের চলে যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
