রাজ্যে ফের ধর্ষণের অভিযোগ। এবার মানসিক ভারসাম্যহীন এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ মামার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের। গোটা ঘটনায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্রের খবর, আচমকাই ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন সন্ধান পাননি। দিনশেষে খবর আসে নিজের এলাকা ছেড়ে অনেকটা দূরের একটি গ্রামে চলে গিয়েছেন সেই তরুণী। বাড়ির লোকজন তাঁকে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু করতেই দূর সম্পর্কের এক মামা তাঁকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নেয়। সেই রাতেই তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেয় সেই মামা।
রাতে পরিবারের লোকজন কিছুই টের পাননি। সকাল হতেই বাড়ির লোকজন আসল ঘটনা বুঝতে পারেন। যদিও ততক্ষণে তরুণী ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাঁকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থানায় গিয়ে সেই দূর সম্পর্কের মামার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর পরিবারের লোকজন। বালুরঘাট থানার পুলিশ ভিলেজ পুলিশের সহায়তায় সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্তকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে সূত্রের খবর।
কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, দূর সম্পর্কের মামা ভাগ্নীকে ফিরিয়ে আনার সময় রাস্তায় তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এদিকে সেই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই মুখফুটে তেমন কিছুই বলতে পারেননি। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা গোটা বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারপর পরিবারের লোকজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
