একেবারে পুজোর মুখে যারা উত্তরবঙ্গের দিকে ট্যুর করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তাদের আশায় কার্যত জল ঢেলে দিলো ট্রেনের একটি সিদ্ধান্ত। পরিবার-পরিজন নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ির পরে বাকি পথটা কিভাবে যাবেন সেই নিয়ে বর্তমানে চিন্তায় অনেকেই। যারা পুজোর সামনে ডুয়ার্সে কিংবা পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের এই সিদ্ধান্ত বেশ চাপের। রেল জানিয়েছেন, জঙ্গল খুলেছে, টয়ট্রেন খুলেছে। কিন্তু তবুও আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে ৩৮ জোড়া ট্রেন। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক কাজ চলছে। এই কারণেই ডুয়ার্সের রুটের বেশকিছু ট্রেনের যাত্রা পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এবারে যারা ডুয়ার্সে যেতে চাইছেন, তাদেরকে কিন্তু নিউ জলপাইগুড়িতে নেমে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ডুয়ার্সে যেতে হবে। ফলে কিছুটা বাড়তি খরচের বোঝা পড়তে চলেছে যাত্রীদের উপরে। একদিন দুদিন নয়, একটানা ছয় দিনের জন্য এই সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হলো। রাজধানী এবং ২০টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি এবং নিউ আলিপুরদুয়ার এর মাঝামাঝি জায়গায় গুমানি হাট, শালবাড়ি এবং ফালাকাটা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে রেল লাইনে কাজ করা হচ্ছে। এই কারণেই সাময়িক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে। তবে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, কিছুদিনের জন্য সমস্যা হলেও পরবর্তীতে কিন্তু যাত্রীদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সুবিধা হবে।
রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে তিনটি রাজধানী সহ ২০টি ট্রেনের রুট ডুয়ার্স-মাথাভাঙ্গা-নিউ কোচবিহার থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরাইঘাট, কামরূপ এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র মেল, হাওড়া গুয়াহাটি এর মত একাধিক আসামগামী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারগামী শিয়ালদা তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিউ কোচবিহার এবং শিয়ালদহের মধ্যে যোগাযোগের জন্য উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিল যাত্রীদের কাছে অন্যতম ভরসা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, ডবল লাইন চালু করার জন্য ইন্টারলকিং এর কাজ হচ্ছে, এবং এই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে।
