দিল্লি-লন্ডন! পকেটে জোর আর হাতে সময় থাকলে উঠে পড়ুন এই বাসে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 17/02/2022   শেষ আপডেট: 17/02/2022 12:49 p.m.
-twitter

একনজরে দেখে নিন 'বাসযাত্রা'র সবকিছু

একটা সময় ছিল, যখন কলকাতা থেকে বাস যেত ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজকাল প্রায়শই দেখা যায় কলকাতা-লন্ডনগামী সেই বাসের সাদাকালো ছবি। ৬৫ বছর আগে, ১৯৫৭ সালে চালু হওয়া সেই বাসের চাকা থেমেছে ১৯৭৬-এই। তবে ভ্রমনপ্রেমীদের জন্য সুখবর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবারও ভারত থেকে বাস রওনা দিতে পারে ব্রিটিশ রাজধানীর উদ্দেশ্যে। তবে এবার কলকাতা নয়। দিল্লি থেকে ছাড়বে সেই বাস (Delhi-London bus)।

ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে? আর বিদেশভ্রমণের কথা উঠলে তো আর কথাই নেই! পকেট সঙ্গ দিলে পাসপোর্ট, ভিসা বানিয়ে, প্লেনের টিকিটটি কেটে উঠে পড়লেই হল। ৬ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা, খুব বেশি হলে ২৪ ঘণ্টার ভিতরেই পৌঁছে যাওয়া যাবে স্বপ্নের গন্তব্যে। তবে প্লেনের বদলে যদি বাহন হয় বাস? তাও ১০০-২০০ নয়, একেবারে ২০,০০০ কিলোমিটারের জার্নি। বাসে চাপলেই গা গোলায়, এমন মানুষদের বাদ দিলে, বাকিদের জন্য কিন্তু দিল্লি-লন্ডনের এই বাসজাত্রা হতে পারে এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার।

জানা যাচ্ছে, একবার ভারত-মায়ানমার সীমান্তের জট কাটলেই শুরু হয়ে যাবে এই বাস পরিষেবা। খুব সম্ভবত এবছরেরই সেপ্টেম্বর মাস থেকে চালু হবে এই বাস। ৭০ দিন ধরে ১৮ টি দেশের উপর দিয়ে ২০,০০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে এই বাস। তাহলে হাতে সময়ের অভাব না থাকলে উঠে পড়া যেতেই পারে এই বাসে।

যদিও সময়ের সাথে সাথে এই বাসে চাপার জন্য প্রয়োজন আরও একটা জিনিসের। সেটা হল পকেটের জোর। কারন এই যাত্রার মোট খরচ জনপ্রতি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। যদিও এই টাকার মধ্যেই বাস ভাড়া-সহ দেশগুলির ভিসা, থাকা-খাওয়ার ভাড়া সবই বরাদ্দ থাকবে। বাসটিও যেমন-তেমন নয়। তাতে রয়েছে ডাইনিং ব্যবস্থা, প্রতিটি যাত্রীর জন্য শোয়ার কেবিনের ব্যবস্থাও। একযাত্রায় ২০ জন যাত্রীকে নিয়ে যাবে বাসটি।

কোন রাস্তা ধরে যাবে এই বাস? প্রথমে দিলি ছেড়ে মায়ানমার, থাইল্যান্ড, চিন, খিরগিজস্তান, কাজাকিস্তান পেরিয়ে ঢুকবে ইউরোপ। তারপর ইউরোপের একাধিক দেশ অতিক্রম করে বাস পৌঁছাবে ফ্রান্স। ফ্রান্সের ক্যালে থেকে প্রমোদতরী করে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ইউনাইটেড কিংডমের ডোভারে ঢুকবে সেই বাস। সেখান থেকে বাস পৌঁছে যাবে লন্ডন।

এই বাসযাত্রা যে কেবল বিলাসবহুল তা-ই নয়, বরং এই যাত্রার মাঝে একাধিক সংস্কৃতি, ঐতিহ্যশালী এবং ঐতিহাসিক স্থানের দর্শনও মিলবে ভ্রমনপিপাসুদের। তাই আর দেরি কেন? চালু হলেই উঠে পড়ুন এই বাসে। আর উপভোগ করে নিন জীবনের সেরা ‘বাসযাত্রা’।