জেনে নিন শীতকালীন সবুজ সবজির উপকারিতা!

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 27/12/2021   শেষ আপডেট: 27/12/2021 6:46 p.m.
Green Vegetables https://pixabay.com/users/silviarita-3142410/

শীতকালে রোজকার খাদ্যতালিকায় থাকুক শীতকালীন সবুজ সবজি

শীত (Winter) পাতাঝরার মরশুম।শীতকালের শুরু থেকেই গাছের পাতা ঝরতে শুরু করে এবং রুক্ষ হয়ে পরে গাছ। শীতকালে গাছেদের মতো আমাদেরও শরীর, ত্বকও রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পরে। এছাড়াও শীতকালে বিভিন্ন ধরনের ফ্লু, ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা যায়। উপরন্তু এখন করোনা (Corona) আবহ। আবার নতুন করে ওমিক্রণের (Omicron) প্রকোপ দেখা দিতে শুরু করেছে। তাই এই শীতকালে আমাদের সুস্থ থাকা জরুরি। আর সুস্থ শরীরের জন্য শীতকালীন খাদ্যতালিকার দিকে আমাদের আলাদা করে নজর দেওয়া উচিত।

শীতকালে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি পাওয়া যায়। এইসব সবজি আমাদের শীতকালীন খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজনীয়। কারণ শীতকালীন মরশুমি সবুজ শাক-সবজির বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। কয়েকটি শাক-সবজির এবং তাদের উপকারীতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল –

পালং শাক – এই সবুজ শাকের পুষ্টিগুণ প্রচুর এবং ক্যালোরি কম। এই শাক শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই শাক মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা শক্তি বৃদ্ধি করে। পালং শাক বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এই শাকের টিক্কা, পাকোড়া, পরাঠা করে যেমন খাওয়া যায়, তেমনভাবেই এটি স্যালাড হিসাবেও খাওয়া যায়।

বাঁধাকপি– এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর সবুজ সবজি। এটি পরোটা, স্যুপে দিয়ে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি এটি স্যালাড হিসেবেও খাওয়া যায়। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই এটি হজমে সাহায্য করে। একইসাথে এই সবজি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে।

ব্রকলি – এটি ভিটামিন 'কে' সমৃদ্ধ একটি সবুজ সবজি। এই সবুজ সবজিটি হার্টকে সুস্থ রাখে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে থাকা ভিটামিন 'কে' রক্ত ​​জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে এবং শরীরের ক্ষত স্থান মেরামতে সাহায্য করে। এটির স্যুপ, তরকারি করে খাওয়া যায়। আবার অনেক সময় ভিনিগার মিশিয়ে বা লবন মিশিয়ে এটি স্যালাড হিসেবেও খাওয়া হয়।

সবুজ মটর –সবুজ মটর বা মটরশুঁটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। সবুজ মটর যেমন তরকারি বা স্যুপে দিয়ে খাওয়া যায়, তেমনি এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ব্রেকফাস্ট বানানো যায়। এই সবুজ মটর প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে।

পুদিনা – পুদিনা স্যালাডে বা কোনো তরকারিতে দিয়ে খাওয়া যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়াও এটি সুগন্ধযুক্ত হওয়ায় এটি খাবারের গন্ধ ও স্বাদ উভয়ই বৃদ্ধি করে।

শসা – শসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। শসা হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এটি পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতে বিশেষভাবে কার্যকরী।

মেথি পাতা –মেথি পাতাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। এছাড়াও মেথি পাতা ক্যালসিয়াম, ফোলেট, রিবোফ্লাভিন, পাইরিডক্সিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। মেথি পাতা মুরগি বা মাছের সাথে যোগ করে বা পরোটায় স্টাফ করে খাওয়া যায়।