অত্যাচারী দানব মহিষাসুরকে বধ করার জন্য দেবী আদ্যাশক্তির সৃষ্টি হয়েছিল, সেই আদ্যাশক্তির আরাধনায় মেতে ওঠে সারা বিশ্বের বাঙালি।শরৎকালেই মা দুর্গাকে মাতৃরূপে এবং কন্যারূপে বাঙালি বরণ করে। এই "আনন্দ যজ্ঞে" সামিল হতে চলেছেন সনাতনী পূজা ও সংস্কৃতি, বার্লিন (berlinpuja.de) সমিতি। ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের যৌথ উদ্যোগে এই পুজো হতে চলেছে বার্লিনে।
এই ক্লাবের অর্থ সম্পাদক কণিকা সরকারের কথায়, "সনাতনী পূজা ও সংস্কৃতির প্রধান উদ্দেশ্য হল—আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্ব এবং বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা, তাদের সঙ্গে পরিচিতি করানোর। ধর্ম এবং শিক্ষার সমন্বয়ে যে প্রাচীন সংস্কৃতির আমরা ধারক ও বাহক তা যেন কোনো ভাবেই বিলুপ্ত না হয়ে যায় আমাদের মনন, চিন্তন ও অবস্থান তথা অস্তিত্ব থেকে ।"
আমরা কথা বলেছিলাম এই সমিতির একাধিক সদস্যের সঙ্গেও। জানতে পারলাম, মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া এই পুজোকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলছে। বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশ—এই দুই দেশের মানুষের অংশগ্রহণ সত্যই চোখে পড়ার মত।
'বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্' শিক্ষক দিবসে এই হোক অঙ্গীকার
দু'শো মহিলার উদ্যোগে জলসংকটের সুরাহা বুন্দেলখণ্ডে
বিগত বছগুলোর মত এ বছরটা একেবারেই নয়, ২০২০ ও এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে তাই কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। যেমন— ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ হলেই মণ্ডপে প্রবেশাধিকার থাকবে বা সঙ্গে থাকতে হবে কোভিড পরীক্ষার প্রমাণ।
পুজোর চারদিনে থাকবে বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা। সঙ্গে সকল নিয়ম তথা আচার অনুষ্ঠান মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী মায়ের বোধন, সন্ধিপূজা, হোম, সিঁদুর খেলা সবই পালন করা হবে।
এই পুজোর বিশেষত্ব হল, "বাড়ির পুজো"। হ্যাঁ, উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা সর্বদাই বাড়ির পুজো ও বৈঠকী আমেজকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন পুজোর আয়োজনের মাধ্যমে। যাতে, প্রবাসী বাঙালীর হৃদয়ে বিরাজ করে একটুকরো কলকাতা—ঘরে না এসেও ঘরের টান , মাটির গন্ধ আর শারদ উৎসবের বার্তা।