২৫ হাজার শূন্যপদে হবে নিয়োগ, পুজোর পরেই নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 04/09/2022   শেষ আপডেট: 04/09/2022 9:38 a.m.

পুজোর পরেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার

পুজোর (Durga Puja) পরেই হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ টেট (Primary TET)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর পরেই পরবর্তী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা হতে চলেছে। দুদিন আগে এই সমস্ত জেলা থেকে পাঠানো হয়েছে প্রাথমিক টেটের পরীক্ষা কেন্দ্রের বিস্তারিত হিসাব। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, "আমরা প্রস্তুতিটা একেবারে সেরে রাখতে চাইছি। টেটের দিনক্ষণ নিয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিকাশ ভবনের হিসেব অনুযায়ী শূন্যপদের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২৫ হাজারের কাছাকাছি।"

ইতিমধ্যে নিয়োগ বিতর্ক নিয়ে জর্জরিত হয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার। আদালত একের পর এক তদন্তের নির্দেশ দিতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় যাতে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে তার জন্য শুরু করা হচ্ছে নতুন নিয়োগ। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুজোর আগে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করা হবে। এছাড়া প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এবং নিয়োগ চলবে। তবে পরবর্তী সময়ে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনি পট পরিবর্তন হয়েছে। এই কারণে পিছিয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। তাই এবারে সবকিছু ঠিক করে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে রাজ্য সরকার। ২০১৭ সালের টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনো বাকি রয়েছে। সেই টেট পরীক্ষার জট কাটিয়ে নতুন করে টেট পরীক্ষা নিয়ে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে নবগঠিত অ্যাড হক কমিটির বৈঠক খুব শীঘ্রই বসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্য সরকার মনে করছে, প্রায় কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী আগামী টেট পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। এর ফলে বাংলায় আরো একবার কর্মসংস্থানের জোয়ার আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পাশাপাশি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও ধাপে ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে তারও আগে হবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ। সবকিছু যদি ঠিকঠাক চলে তাহলে স্কুল শিক্ষায় শিক্ষকের অভাব বুঝবে এবং উন্নত হবে পঠন পাঠন। উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলির কারণে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। শিক্ষকদের মধ্যে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে নতুন নিয়োগ হলে এই ছবিটা পরিবর্তিত হবে বলে মনে করছে অনেকেই।