সকলের মুখে মাস্ক, ফাঁকা "স্টাফ স্পেশ্যাল"! ঘুম থেকে উঠুন, 'পরিদর্শকে' দেখুন

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 01/09/2021   শেষ আপডেট: 01/09/2021 8:27 p.m.
"স্টাফ স্পেশ্যাল" নিজস্ব চিত্র

"দো গজ কি দূরি, মাস্ক হ্যায় জরুরি"

রাস্তায় সকলের মুখেই মাস্ক, তাও আবার পুরো নাক পর্যন্ত। বারবার হাত স্যানিটাইজ করে নিচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন (Staff Special Train) কার্যত ফাঁকা, ঠেলাঠেলি এখন ইতিহাস। আর বনগাঁ লোকালের ভীড়? ওসব এখন অতীত। ভীড় নেই। যেহেতু লোকাল ট্রেন বন্ধ, তাই স্টাফ স্পেশ্যালে সাধারণ মানুষ উঠছেন না। যারা উঠছেন সকলেই স্টাফ। ভাবছেন এই দৃশ্য কোথাকার? নিশ্চয়ই আমার বা আপনার স্বপ্নে।

বনগাঁ গামী "স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন" নিজস্ব চিত্র

কবে খুলবে লোকাল ট্রেন? কার্যত এই প্রশ্নে সাধারণ আমজনতা। বলে রাখা ভালো, শুধু স্টাফরা নয়। তাঁরা ছাড়াও হাট (আনাজ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়াও অন্যান্য), বাজার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজে কিংবা প্রাইভেট টিউশনের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় লোকাল ট্রেন।

বর্তমানে সাধারণ মানুষের জন্য স্মার্ট কার্ড পদ্ধতিতে মেট্রোর দরজা খুললেও, বন্ধ লোকাল ট্রেনের দরজা। এদিকে মান্থলি নয়, প্রতিদিন আপ ডাউনের টিকিট কেটেই সহজে আগের মতোই যাত্রা করা সম্ভব। টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটার সময় আপনাকে জিজ্ঞেস করাও হবে না, আপনি আদৌ স্টাফ কিনা কিংবা স্টাফ স্পেশ্যালে ওঠার জন্য কোনও নথিও চাওয়া হবে না আপনার কাছে।

এদিকে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি হবে না, এমন ঘোষণা করার পরেও, দিব্যি সাত টাকার ভাড়া দশ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। তবুও ৫০ শতাংশ যাত্রী তোলার প্রশ্নই নেই।

মাস্ক সরিয়ে ট্রেনের মধ্যেই খেতে ব্যস্ত এক "স্টাফ" নিজস্ব চিত্র

"দো গজ কি দূরি, মাস্ক হ্যায় জরুরি" শুনেছেন নিশ্চয়ই একথা? তবে এসব শুধুমাত্র ফোনের কলার টিউন, পাড়ার মাইকেই রয়ে গেছে।

এই ট্রেনের এক যাত্রীর বক্তব্য, "ট্রেনে পা রাখা যাচ্ছে না, এত ভীড়। আপনার কী মনে হয় রাজ্যে এত স্টাফ? তাহলে কারা বেকার বেকার করে আন্দোলনে সামিল হন? সব কিছুই খুলছে, স্টাফ স্পেশ্যালের নামে তো কম ট্রেন চলছে না। তাহলে একেবারে লোকাল ট্রেন খুলুক। বেশি সংখ্যক ট্রেন চলুক। তাতে তো ভীড় হবে না এতো।"

নিজস্ব চিত্র

অন্য এক যাত্রীর কথায়, "হকার্সদের মুখে মাস্ক আছে? যাত্রীরা চারজন করে ঠেলাঠেলি করে বসছে, তাহলে সিটে এসব পোস্টার লাগানোর কী ছিল? এভাবে করোনাকে আটকানো যাবে?"

তবে অপর একজন যাত্রী বলেন, "কম ট্রেন আছে তাই এত ভীড়, বেশি চললে কী হবে ধারনা আছে? মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আস্থা থাক। উনি সময় মতোন লোকাল ট্রেন চালু করবেন।"

প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ রোধে সর্তকতা হিসেবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বিধিনিষেধ। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, গ্রামাঞ্চলে ভ্যাকসিনেশন ঠিকমতো হলেই লোকাল ট্রেন চলবে। তবে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে এর আগেও একাধিক স্টেশনে রেল অবরোধের ঘটনা ঘটেছিল।