একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। এই মুহূর্তে বিজেপি দাবি করেছে, "বহু বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সুবিধা পাচ্ছে। যেমন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তরে বাংলাবাসীরা সরকারি টাকায় বাড়ি বানাতে পারবে।" কিন্তু খাতায়-কলমে হিসেব থেকে বেরিয়ে এলে এই প্রকল্পের সুবিধা গুটিকয়েক মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। যেমন বাঁকুড়া শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউড়ি খোদ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পুরো টাকা পায়নি। এমনকি এখন অব্দি তার বাড়িতে নেই কোন শৌচাগার। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন চন্দনা বাউরী। তাদের একটি বেড়ার ঘর ও টালির ছাদ ছিল। সেখানে কোনোরকমে দারিদ্রতার সাথে তাদের জীবন কাটতো। বিজেপি করতে করতে নিজ দক্ষতায় বিজেপির সম্পাদক পদ পান তিনি। কিন্তু বিজেপি কর্মী হয়েও এখন অব্দি তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা পাইনি।
চন্দনা বাউড়ি বিজেপি প্রার্থী হয়েও এখনো অব্দি তার স্বামী শাশুড়ী ও সন্তানকে নিয়ে একটি ভাঙাচোরা ঘরে থাকে। যেখানে নেই কোন শৌচালয়। বাড়ির মধ্যেই থাকে দুটি ছাগল এবং একটি গরু। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। এছাড়াও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের অন্তর্গত শৌচাগার নির্মাণ এর জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। আবেদন করার ২ বছর পর ২০২০ সালে মাত্র ১ লাখ টাকা পান তিনি। সেই টাকায় তার ঘরের কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি। কোনরকমে বেড়ার বাড়িতে থেকেই এখনো তার দিনযাপন করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দিকে আঙ্গুল উঠেছে। যদিও বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউড়ি ঘটনার দায় চাপিয়েছে শাসকদলের ওপর। তিনি জানিয়েছেন, "তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য তার কাছে টাকা পৌঁছায়নি। তবে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।"