স্পিকারের পর এবার তাইওয়ান সফরে গেলেন আমেরিকার আইনপ্রণেতারা, আবারো যুদ্ধের মহড়া শুরু করল চীন

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 15/08/2022   শেষ আপডেট: 15/08/2022 10:38 p.m.
এড মার্কি https://twitter.com/SenMarkey/

আমেরিকার এই সফরের কারণে বেজায় চটেছে চীন

আমেরিকার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির পর এবার তাইওয়ান সফরে গেলেন আমেরিকার সব থেকে বড় আইন প্রণেতারা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে চীন। তাইওয়ানের চারপাশে ইতিমধ্যেই সামরিক মহড়া সাজাতে শুরু করেছে বেইজিং। দুদিনের সফরে আমেরিকার কংগ্রেসের ৫ সদস্য তাইওয়ান সফরে গিয়েছেন। এই সফরে তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাসাচুসেটসের সেনেটর এড মারকি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাং-ই ওয়েনের সঙ্গে তিনি নিজেই সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই সফরটি ছিল সম্পূর্ণরূপে গোপনীয়। সফরের দিনের আগে এই নিয়ে কোন ঘোষণা করেনি আমেরিকা।

তবে পেলোসির পর আমেরিকার এই দলের সফর নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ চীন। ইতিমধ্যেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বেইজিং এর তরফ থেকে। তাদের লক্ষ্য হলো, যেকোনোভাবেই হোক স্বশাসিত তাইওয়ানকে কবজায় রাখা। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই জানিয়েছেন, সেই দেশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চাইছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলছেন, 'এই থেকেই স্পষ্ট স্বৈরাচারী রাষ্ট্রগুলো সারা বিশ্বের প্রতি কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।'

অন্যদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ান বলছেন, 'দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখন্ডতা, স্বাধীন তাইওয়ান কামী বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈদেশিক হস্তক্ষেপ পাঠানোর জন্য চীনের লিবারেশন আর্মি লাগাতার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে।' তবে তাইওয়ান চীনের এই পদক্ষেপের নিন্দা করছে। তারা বলছে, 'আমাদের প্রতিবেশী খারাপ বলে আমরা ভয় পাব, বন্ধু রাষ্ট্রকে আসতে দেবো না, তা অনুচিত। গণতান্ত্রিক তাইওয়ান কিভাবে বন্ধুত্ব করবে তার স্বৈরাচারী চীন কখনোই ঠিক করতে পারেনা।'