তালিবান (Taliban) আছে তালিবানেই। খাতায়-কলমে নারী স্বাধীনতার কথা বললেও বাস্তবে আফগানিস্তানে (Afghanistan) মহিলাদের অবস্থা যে অত্যন্ত শোচনীয় সাম্প্রতিক একটি খবরে ফের তা স্পষ্ট।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের কিছু পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই আবেদনে পুরুষদের কোন বাধার মুখোমুখি পড়তে হয়নি। কিন্তু ছাত্রীদের কাবুল ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তালিবানের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেকোন প্রয়োজনে মেয়েদের দেশের বাইরে যাওয়া কার্যত নিষিদ্ধ। এই ঘটনায় ফের আফগানিস্তানে যে লিঙ্গ বৈষম্যের চিত্র প্রকাশ্যে এল, বলছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ছিল, এবার থেকে আফগানিস্তানের সমস্ত নারীদের কেবল বোরখা নয়, হিজাব পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনভাবে পরতে হবে যাতে কেবল চোখটুকু দেখা যায়। এর অন্যথা হলেই একাধিক শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সেদেশের নারীদের। বলা হয়েছিল, যাঁরা এই ফতোয়া মেনে চলবেন না, তাঁদের পুরুষ অভিভাবকদের সতর্ক করা হবে। তার পরে যদি তাঁরা অস্বীকার করেন, তবে তাঁরা জেলের মুখোমুখি হতে পারেন। যেসকল নারী সরকারি কর্মচারী, যাঁরা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখবেন না, তাঁদের বরখাস্ত করা হতে পারে। পুরুষ কর্মচারীদের সঙ্গে নারী-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য যাঁরা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে।
এখানেই শেষ নয়, আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই একের পর এক ফতোয়া জারি করে চলেছে। বিশেষ করে নারীদের উপর নেমে এসেছে একাধিক সামাজিক বিধি-নিষেধ। এর আগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের পড়াশোনার অধিকার, কাজের জায়গায় স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। হিজাব নিয়েও এর আগে তালিবান একাধিক ফতোয়া জারি করেছিল। এবার সরাসরি মহিলাদের স্বাধীনতা, স্বাবলম্বী হওয়ার প্রশ্নে তৈরি হল বিতর্ক।