২৬/১১ মুম্বাই জঙ্গি হামলার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল পূর্ব আফ্রিকার সোমালিয়ায়। শুক্রবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদীসুর একটি হোটেলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় আল শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী। হোটেলের বাইরেও একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। ইতিমধ্যেই ২৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ওই হামলায়। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সোমালিয়া প্রশাসন। এখনো পর্যন্ত হোটেলে অনেকজন পণবন্দী রয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই আমরা তাই স্বীকার করেছে আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে দুটি গাড়িতে বিস্ফোরক আনা হয়েছিল। চলেছে গুলি। অন্যদিকে সোমালিয়া গোয়েন্দা বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, "দুটি বিস্ফোরক বোঝায় গাড়ি নিয়ে হোটেল হায়াতে আক্রমণ করা হয়। একটি গাড়ি একেবারে গেটের সামনে আঘাত করে।" হোটেলে ঢুকে পরপর দুটি গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। একটি হোটেলের কাছে গার্ড রেলে এবং অন্যটি হোটেলের গেটের কাছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা হোটেল ঘিরে ফেলে। মুহুর্মুহু গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। হোটেলে নানা জায়গায় আগুন ধরে যায়।
সোমালিয়া পুলিশ বিভাগের একজন শীর্ষ আধিকারিক দাবি করছেন, "হোটেল থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। হোটেলের মধ্যে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে এখনো পর্যন্ত। এই হামলায় মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।" আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা নিউইয়র্ক টাইম সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এই জঙ্গি হামলায়। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছে সোমালিয়া প্রশাসন। জঙ্গিদের লক্ষ্য হিসেবে এই হোটেল বেছে নেওয়ার নেপথ্যে সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করছে, হোটেলটিতে প্রায়ই রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করতে আসতেন। তাদের মধ্যে কেউ জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মে মাসে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন হাসান শেখ মাহমুদ। তিনি দায়িত্বভার নেবার তিন মাসের মধ্যেই প্রথম এত বড় জঙ্গি হামলা হলো সোমালিয়ার রাজধানীতে।