টোকিও অলিম্পিকের জের, রবিবার সকালে কলকাতায় দৌড়াবেন দিলীপ ঘোষ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 31/07/2021   শেষ আপডেট: 31/07/2021 9:22 p.m.
twitter @DilipGhoshBJP

শনিবার একথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

চলছে টোকিও অলিম্পিক ২০২০ (Tokyo Olympics 2020)। দেশের জন্য মেডেল জেতার লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। তাঁদের উৎসাহ দিতেই কলকাতায় 'ম্যারাথন' দৌড়ের পরিকল্পনা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কিন্তু বিজেপির সেই আশা জল ঢেলে দিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তবে পুলিশ অনুমতি না দিলেও ম্যারাথন দৌড় হবেই। শনিবার একথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পুলিশের কাজই বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি না দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খালি উপনির্বাচন করতে চাইছেন। আর গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচির ক্ষেত্রেই যত আপত্তি। বঙ্গ বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পুলিশের অনুমতি না দিলেও রবিবার এই কর্মসূচি হবে।' সূত্রের খবর, রবিবার সকালে কলকাতায় দৌড়াবেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে থাকবেন বিজেপি‌ যুব মোর্চার নেতা ও কর্মীরা। ম্যারাথন দৌঁড়ে অংশ নিতে পারেন কেন্দ্রীয় জল‌সম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁরও। এই পরিকল্পনার কাজের দায়িত্ব দেওয়া ছিল যুব মোর্চার দুই সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দাস ও গোবিন্দ রায়ের উপর।

প্রসঙ্গত, রেড রোডে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশ থেকে রেড রোডেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপির যুব সংগঠন যুব মোর্চার এই বিশেষ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যে এখনও আংশিক ভাবে লাগু রয়েছে করোনা বিধি নিষেধ। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে প্রেরিত এই ‘ম্যারাথন’ দৌড়ের প্রস্তাবে এই মুহূর্তে সম্মতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে কর্মসূচি করা নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় বিজেপি।

এদিকে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৬৪৯। আজ মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪০ জনের বেশি। শুক্রবারের হিসেবে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ২৩০। সেই হার কিছুটা কমেছে।অন্যদিকে, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৮১০ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৯৩। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮ হাজার ৯২০।