নয়া সিদ্ধান্ত ২০২২ সালের বোর্ড পরীক্ষার্থীদের জন্য, জানুন বিস্তারিত

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 17/08/2021   শেষ আপডেট: 17/08/2021 3:51 p.m.

একটির বদলে একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের ফলে এক জন পড়ুয়ার মেধার সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব : সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য

এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফলবিভ্রাট নিয়ে কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। করোনার কারণে পরীক্ষা বাতিল করে, যে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়েছিল, তাতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল অধিকাংশ পড়ুয়ারা। বর্তমানে এখনও অব্দি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির দরজা খোলেনি। নানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাস্তায় ক্লাস করলেও, পুজোর আগে স্কুল খোলার পরিকল্পনা নেই বললেই চলে। এ পরিস্থিতিতে বেজায় অস্বস্তিকর অবস্থায় ২০২২-এর উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। তারা না তো স্কুলের ক্লাস করেছে, না বসতে পেরেছে টেস্ট পরীক্ষায়। বোর্ড পরীক্ষার আগের ক্লাস অর্থাৎ (মাধ্যমিকদের ক্ষেত্রে) নাইন এবং (উচ্চমাধ্যমিকদের ক্ষেত্রে) ইলেভেনেও ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। কাজেই, করোনার কারণে যদি আগামী বছরও খাতা-কলমে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে নতুন পদ্ধতিতে হবে মূল্যায়ন। তাই ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। সোমবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিলেন নতুন সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে তাঁর স্বল্প, দীর্ঘমেয়াদি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক একাধিক পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন চিরঞ্জীববাবু। তিনি বলেন, "উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবর্ষ শেষে একটাই নির্ণায়ক পরীক্ষা হবে, এই ধারণা এখন অনেক জায়গা থেকেই উঠে গিয়েছে। অনেকেই এখন শিক্ষাবর্ষজুড়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার দিকে এগোচ্ছে। একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমেই ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করা উচিত। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রস্তাব নেওয়া হবে।" নতুন সংসদ সভাপতি এদিন জানিয়েছেন, “মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে।” প্রসঙ্গত, গত সোমবার সংসদের সভাপতি পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

তাঁর ব্যাখ্যা, একটির বদলে একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের ফলে এক জন পড়ুয়ার মেধার সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব। উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিকের ফলবিভ্রাট নিয়েও এবার বিস্তর অশান্তি হয় রাজ্যে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। পরে সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। রিভিউতেও বহু পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে। তবে পরেরবার এমন বিক্ষোভ হবে না, কারণ মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে।