ধাপে ধাপে শীঘ্রই খুলুক স্কুল, UNESCO-এর রিপোর্ট নিয়ে সরকারকে সতর্ক করল ICMR

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 28/09/2021   শেষ আপডেট: 28/09/2021 10:08 p.m.

যদিও আশঙ্কা করা হচ্ছে অফলাইন এবং অনলাইন দুই মোডেই হতে পারে পরীক্ষা

করোনার প্রকোপে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় টানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর এবার ধাপে ধাপে স্কুল খোলার সুপারিশ করলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর বিশেষজ্ঞরা। দিল্লি কিংবা মুম্বই নয়, দেশের সব রাজ্যের জন্যই তাঁদের এই সুপারিশ। কাজেই নভেম্বরে বাংলাতে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতিও বেশ তুঙ্গে উঠবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন পরীক্ষাগুলি অফলাইনে হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। যদিও আশঙ্কা আছে অফ এবং অন দুই মোডেই হতে পারে পরীক্ষা। তবে সে সব এখন দূরের কথা।

বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রাথমিক স্তর থেকে এ বার ধাপে ধাপে স্কুল খোলা শুরু হোক। পরের ধাপে খোলা হোক মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলি। তার পর উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুল।

কীভাবে করোনার জেরে ব্যাহত হয়েছে পড়াশোনা, কীভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে ভারতের ছেলেমেয়েরা। তা বোঝাতে এবং স্কুল খোলার প্রক্রিয়া শুরুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞরা 'ইউনেস্কো'র একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট ফুটিয়ে তুলেছেন, যেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে উঠেছে বিশেষজ্ঞদের।

রিপোর্ট অনুসারে, করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের সবক’টি রাজ্যে টানা ৫০০ দিনেরও বেশি স্কুল বন্ধ থাকায় ৩২ কোটিরও বেশি শিশুর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। শিশুরা ভুলে যাচ্ছে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার প্রয়োজন। এবং সাধারণ নিয়ম কানুন মানার ইচ্ছেও নেই তাদের মধ্যে। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়মুখী না হওয়ার কারণে, বিদ্যালয়ের সমস্ত নিয়ম ভুলতে বসেছে তারা। এই উপসর্গ গুলি শুধু ছোটদের ক্ষেত্রে নয়, মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের মধ্যেও এসেছে এমন অবহেলা।

যদিও এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে সমস্ত জেলার করোনা সংক্রমণের সংখ্যা, টিকাকরণের হার সমস্ত কিছুই আগে থেকে বিচার বিবেচনা করে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পক্ষে তাঁরা। এর ফলে তৃতীয় ঢেউ এলেও তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল আইসিএমআর তাদের এক রিপোর্টে দাবি করেছিল, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে স্কুল খুলুক সরকার। এক্ষেত্রে স্কুলে স্কুলে করোনা পরীক্ষা, টিকাকরণ ছাড়াও আরও নানান সাবধানতার কথা জানিয়েছিল আইসিএমআর।