হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ করানোর অভিযোগে শিলচরে গণপ্রহারিত দুই খ্রিস্টান মহিলা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 22/11/2021   শেষ আপডেট: 22/11/2021 5:01 p.m.

দুই মহিলাকে কিছু সময়ের জন্য তারাপুর থানায় আটক করেও রাখা হয় বলে খবর সূত্রের

হিন্দুদের খ্রিস্টীয় ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে দুই খ্রিস্টান মহিলার উপর চলল গণপ্রহার। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে আসাম রাজ্যের শিলচরে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক হিন্দু গোষ্ঠী দুই মহিলাকে আটকে রাখে। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, দুই মহিলার নাম নিতু গোয়ালা এবং শিরশা বাগদি। তাঁরা শিলচর শহরের তারাপুর এলাকার বাসিন্দা। রবিবার হিন্দু রক্ষী বাহিনীর কিছু কর্মী তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিন সন্ধ্যায় তারাপুর থানায় দুই মহিলাকে সাময়িকভাবে আটক করে রাখা হয়। আটকের ঘটনায় শিলমোহর বসিয়েছেন খোদ থানার ওসি আনন্দ মেধী। যদিও কিছুক্ষন বাদে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়, এমনটাই খবর সূত্রের।

ঘটনার বিষয়ে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালবেলায় তারাপুরের ভাষা শহিদ লেনে দুই মহিলা বাইবেলের বার্তার রেকর্ড বাজাচ্ছিলেন এবং লিফলেট বিতরণ করে মানুষজনকে খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে একদল ছেলে দুই মহিলাকে গনপ্রহার করে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশৃঙ্খলা চরমে পৌঁছালে দুই মহিলাকে আটক করে তারাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু রক্ষা বাহিনীর জনৈক সদস্য বিজয় নাথের কথায়, নিতু গোয়ালা এবং শিরশা বাগদি যথাক্রমে হিন্দু ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, দুই মহিলা সেখানে আরও হিন্দু লোকজনকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁরা মানুষদের হিন্দু পূজা থেকে বিরত থাকতে বলছে, যা হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানছে। এমন ঘটনা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় সহ্য করা হবেনা বলেই জানিয়েছেন তিনি।