আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ পূর্ব বর্ধমানে, বাধা দিতে গেলে মারধর স্বামীকেও

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 05/10/2021   শেষ আপডেট: 05/10/2021 4:08 p.m.

ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ

এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য মন্তেশ্বর থানা এলাকায়। জানা যাচ্ছে, সোমবার সকালে বরুণা এলাকার খালপাড় থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করে ওই মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস বলেছেন, "নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।" সোমবার ভোররাতে ওই মহিলাকে ট্রাক্টর এর ট্রলির নিচে থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। সেই সময় মহিলার স্বামীকে তার মুখে জল দিতে দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলা এবং তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জবাবে মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, রবিবার রাতে তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন করা হয়েছে। জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় এবং সেখানে গিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। মহিলার স্বামীর বয়ান অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যাবেলা তার সঙ্গে রায়গ্রামে বাজার করতে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী। বাজারে দেরি হওয়ায় রান্না করবেন বলে ঘরে তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন স্বামী। তখন বাজার থেকে ওই মহিলা একা ফিরছিলেন। সেই সময়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়।

স্ত্রীকে বাড়ি ফিরতে না দেখায় তাকে খোঁজ করার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন তার স্বামী। কিছুটা দূরে যেতেই পুরুনিয়া এলাকায় পুকুরপাড়ে এক মহিলার চিৎকার শুনতে পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন তার স্বামী। স্ত্রীর উপর নির্যাতনের বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্ত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে তাকে ঘরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন তার স্বামী। কিন্তু গোটা রাস্তাটা ওইভাবে যেতে না পেরে খালপাড়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বসে পড়েন। সোমবার ভোররাতে কয়জন গ্রামবাসীর নজরে আসেন তারা দুজন। জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুরো ঘটনা জানতে পেরে তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ।