পুজোর পরেই খুলছে স্কুল-কলেজ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 05/08/2021   শেষ আপডেট: 05/08/2021 4:37 p.m.
facebook.com/BanglarGorboMamata

ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বারংবার বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশ

করোনার (Corona Virus) জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল, কলেজ। ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বারংবার বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশ। তবে তবে কবে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্ন প্রত্যেকের মনেই। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন এ বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, পুজোর পর থেকেই স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুজোর পর স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। অল্টারনেটিভ দিনে ক্লাস করানো হবে। নজর দেওয়া হবে যাতে কঠোরভাবে বিধি নিষেধ পালন করা হয়।"

তবে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পুজোর পর কোন শ্রেণির পঠনপাঠন একদিন অন্তর শুরু করার কথা ভাবছেন? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, "পুজোর ছুটির পর স্কুল খোলার বিষয়টি এখনও ভাবনা চিন্তার স্তরে। শিশু ভূমিষ্ঠই হল না আপনারা অন্নপ্রাশনের কথা ভাবতে শুরু করেছেন।’’ 

প্রসঙ্গত, স্কুল-কলেজের সঙ্গেই কবে চলবে লোকাল ট্রেন, তাও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। তবে এ বিষয়ে জানা যায়নি বিশেষ কিছু। এদিন কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে তিনি বলেন, "তৃতীয় ঢেউ নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেনও রয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। যাতে শরীর খারাপ হলেই আগে থেকে চিকিৎসা শুরু করেন তাঁরা। পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। গ্রামে গ্রামে আশা কর্মী, চিকিৎসকরা রয়েছেন। সামান্য অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অসুখ বাড়লে হাসপাতালে গেলে তখন সামলানো সমস্যা হতে পারে। উৎসবের মরসুমের জন্য গতবছর বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকার সেটা ভালভাবে কার্যকরও করেছিল। তেমন নিয়ম এ বারও জারি থাকবে বলে আশা করছি। কোভিড মোকাবিলায় বাংলায় অনেক কাজ হয়েছে।"

এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, "টিকা না থাকলে একসঙ্গে ১০ হাজার লোক এলে কী ভাবে টিকা দেব? পরপর সবাই পাবে। যে রকম টিকা পাব, তেমন দেব। গুজরাতে জনসংখ্যা বাংলার প্রায় অর্ধেক, অথচ ওরা বেশি টিকা পেয়েছে। সব রাজ্য টিকা পাক, কিন্তু যেন কোনও বৈষম্য না হয়। বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য, তাই গুরুত্ব দেওয়া হোক।"