খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করল NDRF টিম

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 04/10/2021   শেষ আপডেট: 04/10/2021 12:17 p.m.
উদ্ধার... https://twitter.com/2_ndrf

একতলা বাড়ি সমান উঁচু জল, তীব্র খাদ্যসংকট, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

বৃষ্টি কমেছে, কমেছে ডিভিসির (DVC) জল ছাড়ার পরিমাণও। তারপরও হুগলির খানাকুলের পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। এলাকায় নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে, ২৪ ঘন্টা কাজ করছে এনডিআরএফের স্পেশাল টিম, তারপরও খানাকুলের বন্যার সামগ্রিক পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি বলে খবর। রূপনারায়ণের ভাঙা বাঁধ দিয়ে ঢুকেছে জল। একের পর এক গ্রাম জলের তলায়। কোথাও কোথাও একতলা বাড়ি সমান জল বলেও খবর। এমনকী উঁচু রাস্তার কাছের মানুষের মাথা সমান জল।

এরমধ্যেই এনডিআরএফের স্পেশাল টিম এক গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে বলে সূত্রের খবর। ভেসেছে দোকান, বাজার। ডুবেছে সরকারি অফিসও। চাল ভাজা ও আলু সেদ্ধ খেয়ে চলছে মানুষের জীবন। অনেকেরই তো অরন্ধন দিবস চলছে! রান্নার তো কোন ব্যবস্থাই নেই। বাড়ি, ঘরদোর, পুকুর, জমি, মাঠ সব জলের তলায়। ভেসে গেছে গবাদি পশুও। উঁচু রাস্তায় ত্রিপলের তলায় মানুষের দিন গুজরান। সরকারি সাহায্য কিংবা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দৌলতে মিলছে সামান্য খাবার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, খানাকুলের কিছু কিছু স্থানে ১৫ ফুটের বেশি জল জমে রয়েছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু রাস্তার উপর দিয়ে পাঁচ ফুটের বেশি জল এখনও প্রবাহিত। রবিবার সকালে ডিভিসির তরফে ১ লক্ষ ১২ হাজার ১০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল, সোমবার জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি বলে খবর। সঙ্গে বেড়েছে রোগের প্রকোপ। খানাকুল লাগোয়া আরামবাগ শহরও জলের তলায়। দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভাঙায় হু হু করে ঢুকছে বন্যার জল। একদিকে ডিভিসির জল, অপরদিকে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির প্রকোপ বাড়ায় রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলির বন্যা পরিস্থিতি অতি উদ্বেগজনক।