ইউনিসেফ ফটো অফ দ্য ইয়ার ২০২১-এ প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দুই বাঙালির

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 23/12/2021   শেষ আপডেট: 23/12/2021 10:57 a.m.
অভিনব পাঠশালা facebook.com/hareram.singh.mla

সুন্দরবনের চালচিত্র এবং করোনাকালে 'রাস্তার মাস্টার'-এর কাহিনিচিত্র তুলে ধরেই এই পুরস্কার

ইউনিসেফ (UNICEF) আয়োজিত 'ফটো অফ দ্য ইয়ার ২০২১' প্রথম ও দ্বিতীয় খেতাব জিতলেন দুই ভারতীয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় দুই বঙ্গসন্তান সুপ্রতিম ভট্টাচার্য এবং সৌরভ দাস এই পুরস্কার পেয়েছেন। সুন্দরবনের জীবন ক্যামেরাবন্দী করে প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের বাসিন্দা সুপ্রতিম ভট্টাচার্য। অন্যদিকে করোনা মহামারীকালে তালাবন্ধ স্কুলে পড়ুয়াদের নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছেন জামুড়িয়ার 'রাস্তার মাস্টার' দীপনারায়ণ নায়েক। তাঁর সেই রাস্তার মাস্টারের চিত্র তুলে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের সৌরভ দাস জিতে নিয়েছেন দ্বিতীয় পুরস্কার।

বারুইপুরের বাসিন্দা সুপ্রতিম ভট্টাচার্য এর আগেও অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর তোলা ছবিতে সুন্দরবনের পরিবেশ, মানুষের অসহায়তা, আমফান-ইয়াস পরবর্তী সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির জেরে মানুষের কষ্টকর জীবনের চিত্র বারবার উঠে এসেছে। প্রায় দু'দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সুন্দরবন বিষয়ে নানা কাজ করছেন। এর আগেও তিনি অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন। তেমনই সুন্দরবনেরই একটি ছবি ইউনিসেফ ফটো অফ দ্য ইয়ার ২০২১ প্রথম স্থান জিতে নিল।

অন্যদিকে কোলাঘাটের সৌরভ দাস পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি তাঁর প্যাশন। ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সৌরভ করোনা মহামারির সময় জামুড়িয়ার 'রাস্তার মাস্টার' দীপনারায়ণ নায়েকের কথা জানতে পারেন। করোনা অতিমারি কালে যখন সমস্ত স্কুল বন্ধ, তখনই শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক রাস্তায় পড়ুয়াদের পাঠদান দিয়ে এক নজির সৃষ্টি করেছেন। জামুড়িয়ার তিলকা আদিবাসী বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে তিনি তৈরি করেছেন এক অনন্য পাঠশালা। বাড়ির দেওয়ালকে করেছেন ব্ল্যাকবোর্ড। শুধু তাই নয় ছোট পড়ুয়াদের হাতে মাইক্রোস্কোপ ধরিয়ে চিনিয়েছেন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার গঠনচিত্র। আর সেই ছবি ইউনিসেফ ফটো অফ দ্য ইয়ার ২০২১ সালের বিচারে দ্বিতীয় স্থান জিতে নিয়েছে।

দুই বাঙালির এই গৌরবে প্রশংসার বন্যা সামাজিক মাধ্যমে। বারুইপুরের সুপ্রতিম ভট্টাচার্য এবং কোলাঘাটের সৌরভ দাস ইউনিসেফ আয়োজিত ফটো অফ দ্য ইয়ার ২০২১ প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান জিতে অনন্য নজির তৈরি করেছেন।