শুভ্রজিৎ করোনা আক্রান্ত ছিলেন না, 'বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু' এক বছর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 31/08/2021   শেষ আপডেট: 31/08/2021 10:36 a.m.

মর্মান্তিক পরিণতি, এক বছর পর পরিবারে শোকের ছায়া

গতবছর জুলাই মাসের ঘটনা। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে অসহায় মায়ের হাসপাতালের পর হাসপাতাল দৌড়োনোর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। একের পর এক হাসপাতালে দৌড়ে ছেলেকে বাঁচাতে পারেনি অসহায় মা। বলা হয়েছিল ছেলে করোনা (Covid-19) আক্রান্ত। শোনা যায়, মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যেই নাকি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় 'বেড খালি নেই'। কী সরকারী কী বেসরকারি কোথাও মেলেনি ছেলের শেষ চিকিৎসার সুযোগ। বলা যায়, বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারায় ছেলেটি।

গতবছর উত্তর ২৪ পরগণার ইছাপুরের বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন রাজ্য তথা গোটা দেশ জুড়ে মানুষ করোনা আতঙ্কে ভুগছে। একদিকে লকডাউন, অপর দিকে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালে বেডের সংখ্যা অপ্রতুল। রাতারাতি গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুণ চিত্র প্রকাশ্যে উঠে আসে। এমন অবস্থায় শুভ্রজিতের মা এবং পরিবারের লোকজন ছেলেকে বাঁচাতে একের পর এক হাসপাতালের দ্বারস্থ হন। কিন্তু মেলেনি প্রাথমিক পরিষেবাটুকুও। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা যায় এই উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় রাজ্য তথা গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী করুণ প্রতিচ্ছবি।

ছেলের মৃত্যুর পর মা কিন্তু থেমে থাকেননি। দু'টি সরকারি এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মৃত শুভ্রজিতের আরটি-পিসিআর এবং ভিসেরা টেস্টের রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে শুভ্রজিৎ আদৌ করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ফের হাসপাতালগুলোকে কাঠগোড়ায় তোলা হয়েছে। তাহলে কীভাবে শুভ্রজিতের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। আদৌ শুভ্রজিতের কোন করোনা পরীক্ষা হয়েছিল কী না সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহল।