স্ত্রীর উদ্দেশ্যে ফেসবুক পোস্ট করে মেয়েকে খুন, আত্মঘাতী পুলিশকর্মী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 01/04/2022   শেষ আপডেট: 01/04/2022 10:08 p.m.
~pixabay

নদিয়ার ঘটনায় রীতিমতো সকলেই স্তম্ভিত

১০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক থাকলেও সমস্যা ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সম্পর্কে ছিল সন্দেহ। আর সেই কারণেই এবারে কন্যাকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হলো এক পুলিশকর্মী। নদীয়া চাকদহ এর এই ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মেয়েকে খুন করে পুলিশ কর্মীর আত্মহত্যা করার ঘটনায় তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এই ঘটনার। প্রাথমিক সূত্রে পুলিশের ধারণা, ঘরে ঢুকে প্রথমে তার মেয়ের গলায় ফাঁস দিয়ে পরে সেই দড়ির অন্য প্রান্ত নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। কি কারণে ওই পুলিশকর্মীর এই সিদ্ধান্ত তা জানার জন্যই তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে মরিয়া তদন্তকারী দল।

জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে গাংনাপুর এর মৌসুমী সরদার এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বেলঘড়িয়ার জিআরপি অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর জয়ন্ত সরদার এর। তাদের দুজনের একটি সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে যার নাম জিয়া। জানা যাচ্ছে, এক দূরসম্পর্কের বৌদির সঙ্গে জয়ন্তর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করতেন তার স্ত্রী মৌসুমী। অন্যদিকে স্ত্রীকে সন্দেহ করত জয়ন্ত। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। শুক্রবার দুপুরে জয়ন্ত বেলঘড়িয়া থেকে চাকদহ নিজের বাড়িতে ফিরে এসে দেখে স্ত্রী নেই। বাড়ির লোক এদের কাছ থেকে সে জানতে পারে, তিনি চাকদহ স্টেশনে চৈত্র সেল এর বাজার করতে গিয়েছেন।

তারপর খাওয়া-দাওয়া না করে জয়ন্ত ঘরে ঢুকে যান। পরিবারের সদস্যদের বলেন, "তোমরা খেয়ে নাও আমি একটু পরে খাব"। তার মধ্যেই একটি অদ্ভুত জিনিস চোখে পড়ে জয়ন্তর বৌদির। জয়ন্ত তার মেয়েকে নিয়ে ফেসবুকে সরি বলেন ভিডিও তৈরি করে। ফেসবুকে এই ভিডিও দেখেই সন্দেহ হয় তার বৌদির। সঙ্গে সঙ্গে দাদা বৌদি বাড়িতে কর্মরত রংমিস্ত্রি সবাই ডাকতে শুরু করেন জয়ন্ত কে। কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় জয়ন্তর ঘরের দরজা ভাঙা হয়। ঘর থেকে বাবা এবং মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চাকদহ থানায় খবর দেয়া হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই জয়ন্ত সরদার এর স্ত্রী মৌসুমিকে আটক করেছে পুলিশ।