বেসরকারি স্কুলে এবার থেকে দিতে হবে পুরো ফি, উচ্চ আদালতের নতুন নির্দেশে বিতর্ক নানা মহলে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 19/02/2022   শেষ আপডেট: 19/02/2022 9:08 a.m.
instagram.com/nalanda.school

অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে এই নতুন নির্দেশের পর

বেসরকারি স্কুলের উপর থেকে উঠে গেল করোনা ছাড়। তবে এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক? সেই নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী মহলে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ১ মার্চ থেকে বেসরকারি স্কুলগুলি পড়ুয়াদের কাছ থেকে পুরো বেতন নিতে পারবেন। পাশাপাশি, চলতি মাসের বকেয়া ফি এর ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেছেন, 'বর্তমানে বেসরকারি স্কুলগুলি আদালতের রায়কে সম্পূর্ণ অমান্য করে ১০০ শতাংশ ফি নিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও দেদার ফি বাড়িয়ে ওই স্কুলগুলি। বেসরকারি স্কুলের যথেচ্ছাচারকে রুখতে এই মুহূর্তে একটাই রাস্তা খোলা রয়েছে এবং সেটা হল আন্দোলন।'

অন্যদিকে, বেসরকারি স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত বহু স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের বেতন অনিয়মিত। এই পরিস্থিতিতে কোথাও ৪০ শতাংশ, তো কোথাও ৩০ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে। স্কুলের ফি থেকে যদি এই করোনা ছাড় তুলে নেওয়া হয় তাহলে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা আবারও পুরনো বেতনে কাজ করতে পারবেন এবং তাদের উদ্যোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে শিক্ষা কর্মীদের এই যুক্তিকে তেমন একটা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন না অভিভাবক সংগঠন।

তাদের বক্তব্য, "২০২০ সালে কলকাতা হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেই রায় অমান্য করার জন্য স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করেছিলাম। তবে সেরকম তো হলোনা। আদালত বলেছিল স্কুল খোলার একমাস পর থেকে সম্পূর্ণ ফি নেওয়া যাবে। তবে এখন স্কুল খুলতে না খুলতেই সামনের মার্চ থেকে পুরো ফি জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি স্কুলের টিউশন ফি ২০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানানো হয়েছিল, যেহেতু করোনা ভাইরাসের কারণে সকলেরই আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ তাই এই ছাড়। সঙ্গেই আরো জানানো হয়েছিল, যেসব অভিভাবক ২০ শতাংশ ফি কম করার পরেও ফি জমা দিতে পারবেন না, তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য-প্রমাণসহ আরো ফি কমানোর আবেদন করতে পারেন। তবে সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন হবে।