সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটি থেকে বাদ গেলেন অশোক ভট্টাচার্য, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 13/12/2021   শেষ আপডেট: 13/12/2021 5:56 a.m.
অশোক ভট্টাচার্য্য https://www.facebook.com/Asok-Bhattacharya

দার্জিলিং, পুরুলিয়া এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে সিপিএমের সম্মেলন শেষ হয়েছে

বড়সড় রদবদল হল সিপিএম শিবিরে। আজ সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটি থেকে সরে গেলেন অশোক ভট্টাচার্য। এমনকি তিনি থাকছেন না জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্যপদেও। আসলে বাম আমলের রাজ্যের মন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, "তিনি এবার থেকে আর কোনো কমিটিতে থাকতে চান না। তিনি দলের সাধারণ সদস্য হিসাবে কাজ করবেন।" তারপর সিপিএমের তিন জেলা সম্মেলন শেষ হওয়ার পর দলের কোনো কমিটির সদস্য কিংবা আমন্ত্রিত পদে দেখা যায়নি তাঁর নাম। তাহলে দল কি তাঁর ইচ্ছাকেই মান্যতা দিল?

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে শুধুমাত্র ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে হয়তো সরানো হয়নি অশোক ভট্টাচার্যের নাম। আসলে কিছুদিন আগে সিপিএম স্থির করেছিল যে জেলা কমিটিতে তারা ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক কাউকে রাখবে না। নিয়ম অনুযায়ী, এরিয়া কমিটির ক্ষেত্রে বয়স ৬৫, জেলা কমিটির ক্ষেত্রে ৭০ এবং রাজ্য কমিটির ক্ষেত্রে ৭২ বছরের মধ্যে হতেই হবে। সেই হিসেবে হয়তো এবার দার্জিলিং জেলা কমিটি থেকে নাম সরেছে অশোক ভট্টাচার্যের। এই প্রসঙ্গে খোদ অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, "আমার বয়স ৭০ পার হয়ে গেছে। দলের নিয়মে এবার জেলা কমিটি থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। থাকতে পারব না রাজ্য কমিটিতেও। তবে নতুনদের হাতে দল চালানোর দায়িত্ব দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। সিপিএমের সম্মেলনে এবার দলের নেতৃত্ব এবং জেলা কমিটির বেছে নেওয়া হবে। বয়স অনুযায়ী আমার রাজ্য কমিটিতেও থাকা হবে না। আমার জন্য আলাদা নিয়ম হবে না। সিপিএম দলে নিয়মই শেষ কথা।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাৎপর্যপূর্ণভাবে দার্জিলিং জেলার সম্পাদকের নাম পরিবর্তন হয়েছে আজই। এতদিন উল্লেখিত পদে ছিল জীবেশ সরকার। তাঁর জায়গায় এসেছেন সমন পাঠক। তবে জীবেশবাবুর নাম রয়েছে জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্যপদে। আজ দার্জিলিং ছাড়াও পুরুলিয়া ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় সিপিএমের সম্মেলন শেষ হয়েছে। এই দুই জেলাতেও সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী বয়সসীমা দেখেই পদাধিকারী নির্বাচন করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী উত্তর দিনাজপুরের নতুন সিপিএম জেলা সম্পাদক হয়েছেন আনোয়ারুল হক। তবে পুরুলিয়াতে পুনরায় সম্পাদক হয়েছেন প্রদীপ রায়।