করোনা টিকা বিক্রি করছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, জানাজানি হওয়ার পর বড় পদক্ষেপ নবান্নের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 04/09/2021   শেষ আপডেট: 04/09/2021 8:29 p.m.
By Agência Brasília - https://www.flickr.com/photos/64586261@N02/50869701263/, CC BY 2.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=99227217

এই অভিযোগ উঠেছে বারাসাতের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী রায়ের বিরুদ্ধে

আবার একটি টিকা কেলেঙ্কারি, আর সেটাও পশ্চিমবঙ্গে। এবারে করণা টিকা নিয়ে একটি বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ছোট জাগুলিয়া একটি সরকারি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আসামাত্রই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং নবান্ন। এরকম একটি গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বারাসাতের ১ নম্বর ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়েছেন তিনি। আর তিনি নাকি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে টাকা গ্রহণ করেন ওই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধার কাছ থেকে। সেই ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো নিন্দার ঝড় বয়ে যায় রাজ্য সরকার এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর বিরুদ্ধে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের উপরমহল পর্যন্ত এই বিষয়টির আঁচ পৌঁছায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী রায়কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এছাড়াও যত দ্রুত সম্ভব ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে, এই ঘটনাটি নিয়ে উঠেছে হাজারো প্রশ্ন। প্রথমত হলো, বারাসাত এলাকা থেকে গিয়ে বিমানবন্দর এলাকায় তিনি কেন কোন মানুষকে করণা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দিলেন?  কার অনুমতি নিয়ে ঐদিন ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন তিনি? পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, খুব বিশেষ ক্ষেত্রে না থাকলে সরকারি প্রতিনিধিরা কারোর বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেন না। ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও, কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করার কোন নিয়ম নেই সরকারি আধিকারিকদের। এটি একটি সম্পূর্ণ সরকারি প্রকল্প, এখানে ভ্যাকসিনের টাকা নেওয়ার কোনরকম নিয়ম নেই। তাহলে ওই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কেন টাকা নিয়েছেন এখন দেবার নাম করে?  পাশাপাশি যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তারাও কেন ওই ব্যক্তিকে কোন প্রশ্ন না করেই টাকা দিয়ে দিল? এই প্রশ্নটা উঠছে। সব নিয়েই বর্তমানে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে সব্যসাচী রায়ের এই ঘটনা নিয়ে। ইতিমধ্যেই ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরে এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।