বোমা বন্দুক দেখিয়ে সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 07/02/2022   শেষ আপডেট: 07/02/2022 5:24 a.m.
~

ঘটনাটি ঘটেছে রায়দিঘির ভদ্রপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায়

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি এলাকার রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্র পাড়া এলাকায় এবারে মহিলা গ্যাং এর দাপট। বোমা বন্দুক হাতে নিয়ে এসে সিপিএমে মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য কে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই মহিলাদের দলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করা হয়েছে।

রাধাকান্তপুর এর বাসিন্দা রেনুকা নাইয়ারের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা দেখিয়ে তাকে অপহরণ করেছেন মহিলাদের একটি দল। রেনুকার ছেলে বলছে, "আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনজন মহিলা বাড়িতে আসে। প্রথমে তারা মায়ের কাছ থেকে ওষুধ চায়। মা যখন ওষুধ নিয়ে আসে তখন ওরা মাকে বোমা বন্দুক দেখায়। তারপরে মায়ের গয়না লুট করে এবং মাকে অটোয় তুলে নিয়ে চলে যায়।" প্রসঙ্গত, রেনুকা রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েতের সদস্য হলেও পেশায় তিনি একজন আশা কর্মী। তাই তার কাছে অনেকেই ওষুধ নিতে আসেন। শনিবার সকালে ও সেরকম ভাবেই তিনজন মহিলা তার কাছে ওষুধ চাইতে আসার নাম করে তাকে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রতিরোধ করে শনিবার জয়নাল কৃষ্ণচন্দ্রপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বাম কর্মী সমর্থকরা। রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বর্তমানে সিপিএমের দখলে। এই পঞ্চায়েতের ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জন সিপিএমের সদস্য। বাকিদের মধ্যে দুজন এসইউসি এবং তিনজন তৃনমূল সদস্য। মাস দেড়েক আগে এই এলাকার চারজন বাম সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে। ঠিক তেমনভাবেই মহিলাদের কাজে লাগিয়ে বোমাবাজি করে রেনুকাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বামফ্রন্ট। বাম কর্মী সমর্থকদের দাবি, অপহৃতদের সকলকে স্থানীয় নগেন্দ্রপুর বন্যা সেন্টারে আটকে রাখা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রায়দিঘি থানায় দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি বলছেন, "পুরো জেলায় একমাত্র এই পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে। কিন্তু তৃণমূল অন্যায় ভাবে এই পঞ্চায়েতের দখল নিতে চাইছে। দিনে দুপুরে আমাদের সদস্যদের অপহরণ করা হচ্ছে। আমরা পুলিশের কাছে যাচ্ছি। যদি আমাদের সদস্যদের না ছাড়া হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন চালিয়ে যাবে বামফ্রন্ট।"