পশ্চিমবঙ্গে বাড়লো কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা, সবথেকে বেশি কোন জেলায়?

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 04/01/2022   শেষ আপডেট: 04/01/2022 5:44 p.m.
@CPKolkata

নতুন করে ফের কলকাতা পুলিশের একাধিক আইপিএস অফিসার এবং কর্মী করোনাক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর

পশ্চিমবঙ্গে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। তারমধ্যেও সবথেকে খারাপ হয়ে রয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। কিন্তু তারপরেও করোনা সংক্রমণে লাগাম টানা যাচ্ছে না। তাই এবারে পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গা নতুন করে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ২ জেলাতে সর্বমোট ৪১টি এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের নিরিখে বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে ২১টি বিধান নগর মহকুমার অন্তর্গত। বাকিগুলির মধ্যে বারাসাতে আছে দুটি এবং ব্যারাকপুরে আছে ১৮টি এলাকা। সবথেকে বেশি কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতি মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৫২টি এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরে তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় সর্বমোট ৪১টি এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত। ঠিক একই সংখ্যক কনটেইনমেন্ট জোন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া জেলা। তবে কলকাতায় এই মুহূর্তে ২৫টি এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ফলে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সর্বমোট ১১৮টি কনটেইনমেন্ট জোন আছে।

অন্যদিকে, ২০২১ সালের করোনাভাইরাস এর স্মৃতিকে উসকে দিতে শুরু করেছে কোলকাতা পুলিশের কর্মীদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ২০২২ শুরু হতে না হতেই যেখানে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন, সেখানেই একই সাথে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের অফিসারদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ইতিমধ্যেই ওমিক্রণ ভেরিয়েন্টের দৌরাত্ম্যে রীতিমতো উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস এর চিত্র। কলকাতা পুলিশের একাধিক অফিসার সহ মোট ৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জানা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের ৮ জন আইপিএস অফিসার বর্তমানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত। নতুন করে ৩ জন আইপিএস অফিসারের শরীরে করোনাভাইরাস এর চিহ্ন মেলায় রীতিমতো চিন্তায় লালবাজার কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন কলকাতা ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে করোনাভাইরাস এর এই নতুন ভেরিয়েন্টের ক্ষমতা খুব একটা বেশি না থাকার কারণে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অনেকেই।