জেলাস্তরে কোভিড সংখ্যা বাড়লেই জায়গায় জায়গায় হবে কনটেইনমেন্ট জোন, হুঁশিয়ারি মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 16/06/2021   শেষ আপডেট: 16/06/2021 7:52 a.m.
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় facebook.com/MamataBanerjeeOfficial

করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ

মে মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তাই সেই করোনা ভাইরাসের শৃংখল ভাঙার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সরাসরি ১৫ মে থেকে ডাকলেন কার্যত লকডাউন। দীর্ঘ ১ মাস ধরে এই লকডাউন চলেছে। আরো ১৫ দিন চলবে, এটা একেবারে অবধারিত। তো মোট মিলিয়ে দেড় মাস কার্যত লকডাউন। বিরোধীরা মানুষের পেটে ভাত নেই, কালোবাজারি ছেয়ে গেছে বলে গলা ফাটালেও মোটামুটি সকলেই জানেন এই লকডাউনটার প্রয়োজনীয়তা ছিল এবং তাতে লাভও মিলেছে একেবারে হাতেনাতে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা চোখে পড়ার মতই কমেছে। তবে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা নিয়ে কোনরকম রিস্ক নিতে চাইছেন না। তাই ১৬ মে থেকেও চলছে লকডাউন, তবে এবারে এই বিধিনিষেধের উপরে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তবুও মমতা এখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় না বরং তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বেশি চিন্তিত। এবারে আর কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। আর এই ঢেউয়ে চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীদের কথা অনুযায়ী ট্রেন্ড দেখে বোঝা যাচ্ছে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবেন। তাই বাংলার শিশুদের নিয়ে চিন্তিত মমতা। আর এই তৃতীয় ঢেউ যাতে বেশি প্রভাব না ফেলতে পারে তার জন্য আগে থেকেই বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদি জানিয়ে দিলেন, এবারে যে যে জায়গায় করোনা সংক্রমনের সংখ্যা বাড়বে, সেখানে সেখানে কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করে দেওয়া হবে। এই ভাইরাসটিকে আর হালকা ভাবে নেওয়া যাবেনা, ঠারে ঠারে বুঝে গেছেন মমতা, তাই এরকম সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারে জেলাস্তরে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন এবং কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হবে। এছাড়াও করোনা পরীক্ষার পর রোগীর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করার এবং করোনার সার্বিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি করার ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মূলত চারটি বিষয়ের উপর জোর দেয়া হয়েছে। পুর এলাকা, জেলাশাসক, এবং পঞ্চায়েত প্রধানের উপরে বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ, যে সমস্ত জায়গায় করোনা বেশি হচ্ছে সেই জায়গাগুলিকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করবেন তারা। সেই সমস্ত হটস্পটে কনটেইনমেন্ট জোন এবং মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও এলাকার মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে এই সমস্ত উচ্চপদস্থ মানুষদের। এই জন্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তর এবং পুরসভায় ইতিমধ্যেই নির্দেশ নামা পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।