নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল সিবিআই, পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টেই

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 25/05/2021   শেষ আপডেট: 25/05/2021 6:34 p.m.
Supreme Court of India By Subhashish Panigrahi - Own work, CC BY-SA 4.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=84

সিবিআই পক্ষের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির একাধিক প্রশ্নের সঠিক যুক্তিযুক্ত উত্তর দিতে পারেননি

বঙ্গ রাজনীতিতে বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে পুনরুত্থিত নারদ মামলা (Narada case)। শেষমেষ কলকাতা হাইকোর্ট চার হেভিওয়েট নেতা অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চ্যাটার্জীর গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) শীর্ষ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আজ শুনানিতে সুপ্রিমকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেলো সিবিআই। তারা নিজেরাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং আবারও কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলা শুনানি হবে। আসলে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ঘন্টা দুয়েক শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নবানে জর্জরিত হয় সিবিআই। একাধিক প্রশ্নের যুক্তিযুক্ত উত্তর দিতে না পেরে সিবিআই আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা (Tushar Meheta) জানিয়ে দেন, "সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করতে চান। এরপর নারদ মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে।"

জানা গিয়েছে, সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি আর বি গভাই সিবিআই আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করে, "তিনি কেন নারদ মামলায় চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের গৃহবন্দি নির্দেশে বিরোধিতা করছেন? মুখ্যমন্ত্রীর নিজাম প্যালেসের ধরনা দেওয়ার দায় কেন অভিযুক্তদের ওপর চাপানো হচ্ছে? হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনে আপত্তি কোথায়?" এই সমস্ত প্রশ্নের কিছুরই উত্তর দিতে পারেননি সিবিআই আইনজীবী। তাতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, "হঠাৎ করে এই মামলা যদি স্থানান্তরিত করা হয় তাহলে হাইকোর্টের মনোবলে ধাক্কা দেওয়া হবে।" এরপরই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা কিছু সময় চেয়ে নেয়। তারপর তিনি জানান, "মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন, কলকাতা হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চে মামলা চলবে।" এর মাধ্যমে বলা যেতে পারে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে কিছুটা হলেও পিছোতে বাধ্য হয়েছে সিবিআই।