চোখে লঙ্কা গুড়ো ছিটিয়ে বেধড়ক মারধর বিজেপি নেতাকে, সন্দেহের তীর শাসকদলের দিকে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 15/02/2021   শেষ আপডেট: 15/02/2021 3:48 p.m.
তৃণমূল-বিজেপি

রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে খানাকুলে

একুশে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব। আর সেই দ্বন্দ্ব কিছু সময় পরিণত হচ্ছে হাতাহাতিতে। ফের এবার খানাকুলে রাজনৈতিক হিংসার খবর শিরোনাম এল। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে তাদের মারধর করা হয়েছে। সন্দেহের তীর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাতে খানাকুলের বালিপুর থেকে দলীয় বৈঠক শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতা শান্তনু পাল এবং তার এক কর্মী শওকত আলী। তারা খানাকুলের কুড়কুড়ি কনকপুর এলাকায় প্রবেশ করলে সেখানে তাদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী দল। তারপর তাদের গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের চোটে মাথা ফেটে যায় বিজেপি নেতা শান্তনুর। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে খানাকুল ব্লক হাসপাতলে নিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়।

স্থানীয় গেরুয়া শিবির কর্মীরা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তৃণমূলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, "রাতের অন্ধকারে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে মারছে। তৃণমূলের সাহস নেই যে সামনে থেকে আক্রমন করবে। আমরা পুলিশকে সব বলেছি এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করলে আমরা আন্দোলন করবো। কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে খানাকুলে মিছিল হবে।" অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস ঘটনার সাথে কোন যোগ নেই বলেই দাবি করেছে। তৃণমূলের আরামবাগ যুব সভাপতি গোপাল রায় বলেছেন, "এই ঘটনার সাথে দলের কোন যোগ নেই। এসব বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। আমরা মানুষকে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কথা বলি। আর বিজেপি মারপিট করে।" অন্যদিকে স্থানীয় পুলিশ ঘটনা বৃত্তান্ত খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।