তৃণমূলের দলবদলুদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়েই বঙ্গে ব্যর্থ বিজেপি, দাবি সংঘের মুখপত্রে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 14/05/2021   শেষ আপডেট: 14/05/2021 3:39 p.m.
facebook.com/BJP4Bengal

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের সফলতা এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী, মন্তব্য সংঘ মুখপত্রে

৩ থেকে ৭৭ সাফল্য তো বটেই, কিন্তু রাজ্য দখল বহু দূরস্ত। রাজ্যে বিজেপির ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে সরাসরি দলবদলু তৃণমূল নেতাদের কাঠগোড়ায় দাঁড় করালো সংঘের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের দলবদলু নেতাদের মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েই বিধানসভায় এমন ফল বলে প্রকাশ্যে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির একাংশ তথা আরএসএস-এর শীর্ষ নেতৃত্ব।

সংঘের মুখপত্র 'অর্গানাইজার'-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায় বলা হয়েছে, তৃণমূলের দলবদলুদের ক্ষমতা এবং যোগ্যতার যথাযথ বিচার না করে দলে টানায় বাংলায় বিজেপির এই ভরাডুবি। পাশাপাশি শেষ দিকের বেশ কয়েকটি দফায় দেশজুড়ে কোভিড সংক্রমণকেও পরাজয়ের কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সংঘ মুখপত্র 'অর্গানাইজার'-এর 'ব্যাড এক্সপেরিয়েন্স ইন বেঙ্গল' শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে প্রার্থী নির্বাচনে কোনো বাছবিচার করে নি বিজেপি। তৃণমূলের দলবদলুদের নির্বিচারে দলে টেনে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তাই দলের এই পরাজয়।

২০১৯ লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি ১২১ টি আসনে এগিয়ে ছিল অথচ একুশের নির্বাচনে ৭৭ টি আসন পেয়েছে। এই পরাজয়ের কারণ হিসেবে তৃণমূল সরকারের জনমুখী প্রকল্পের পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাব প্রত্যক্ষ করেছে সংঘ নেতৃত্ব। লোকসভায় বামের ভোট রামে টানার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, একুশের নির্বাচনে তা সফল হয়নি। এখানে বিজেপির সাংগঠনিক অদক্ষতা এবং দলবদলু তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুলেছে আরএসএস মুখপত্র।

বিজেপি ভোট ব্যাঙ্কের বড় শক্তি ছিল মতুয়া এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির সমর্থন। অথচ এই নির্বাচনে জঙ্গলমহলের ৫১ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১৭ টি। মতুয়া ভোটের একটা বড় অংশ চলে গেছে তৃণমূলের দিকে। সেদিকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির তুলনায় সফলতা এলেও, দক্ষিণবঙ্গে চূড়ান্ত ব্যর্থ বিজেপি। এর কারণ হিসেবে সংঘের মুখপত্রের দাবি, ভোট পরিচালনায় পুরানো নেতাদের গুরুত্ব হ্রাস কিংবা তৃণমূলের দলবদলুদের নির্বিচারে গ্রহণ এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী।