আউশগ্রামে বিজেপি প্রার্থী পরিচারিকা, প্রার্থী তালিকায় নাম উঠতেই বেজায় খুশি কলিতা মাঝি

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 19/03/2021   শেষ আপডেট: 19/03/2021 5:28 p.m.
আউশগ্রামের বিজেপি প্রার্থী কলিতা মাঝি Twitter

আমি গরিবের যন্ত্রণা বুঝি, তাই আমি চাই না আমার সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা আরও কারোর সঙ্গে হোক : ভোটে জিতলে অভাবী শিশুদের পড়াশোনার দায়ভার নেবেন কলিতাদেবী

তৃণমূলের মতোনই বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরে তারকাদের ভীড়ে ফুটে উঠেছে একাধিক কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ। কয়েকদিন আগেই দলত্যাগ করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। এরপরেই ফের উত্তেজনা চরমে দুই বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে। প্রথম জন হলেন বাঁকুড়া জেলার শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী চন্দা বাউরি। তাঁর স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রী, নিজেদের পাকা বাড়ি অবদি নেই। তিন সন্তান ও ছয়টি গবাদি পশুকে নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটে তাঁর।

অন্যদিকে আরেকজন প্রার্থী যিনি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কলিতা মাঝি। তাঁর স্বামী পাইপলাইনের মিস্ত্রী, এবং সংসারের তাড়নায় কলিতা দেবী নিজেও পরিচারিকার কাজ করেন।

মূলত এই প্রার্থীকে নিয়েই ক্ষোভ গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের। তবে এতে বেজায় খুশি দুই প্রার্থী। একবার জিততে পারলেই বদলাবে তাঁদের ভাগ্যের চাকা। কাজেই প্রচারের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে মাস দেড়েকের ছুটিও নিয়েছেন কলিতাদেবী। এ বিষয়ে বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায় বিজেপির সহ-আহ্বায়ক চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দল গরিব মানুষের স্বার্থে লড়াই করে। একজন সামান্য পরিচারিকাকে প্রার্থী করে দল সেটা বুঝিয়ে দিল। আমাদের প্রার্থীই জয়ী হবেন। এটা আমরা নিশ্চিত।”

কলিতাদেবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, "অর্থের অভাবে বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারিনি। কিন্তু আমার ইচ্ছে পয়সার অভাবে যেন আগামী দিনে কারোর পড়াশোনা না বন্ধ হয়। এই কারণে আমি ভোটে জিতলে অভাবি পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেব। আমি গরিবের যন্ত্রণা বুঝি, তাই আমি চাই না আমার সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা আরও কারোর সঙ্গে হোক।"