বাঙালি মাওবাদী নেতাকে দেওয়া হল বাংলায় সংগঠন তৈরির কাজ, আশঙ্কায় গোয়েন্দারা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 13/03/2022   শেষ আপডেট: 13/03/2022 8:40 a.m.
By Jonathan Alpeyrie, CC BY-SA 3.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=4185161

বিগত কয়েকদিনে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় কিছু মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে

জঙ্গলমহলে আবারো নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার এর চেষ্টা করছে মাওবাদী দল। আর সেই জমি পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংগঠনের একজন বাঙালি নেতাকে, যার নাম অসীম মন্ডল ওরফে আকাশ। তদন্তকারী দলের সন্দেহ, পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ডে সীমানায় অসীম ওরফে আকাশ কাজ চালাতে পারে। তবে, আকাশকে নিয়ে তারা এখনো পর্যন্ত সেভাবে নিশ্চিত নয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হারানো জমি পুনরুদ্ধার এর দায়িত্ব গিয়েছে একজন বাঙালির হাতে। পাশাপাশি, তিনি আবার নাকি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এই দু'য়ে দু'য়ে চার করেই তদন্তকারী দলের সন্দেহ, আকাশ এই কাজ করতে পারেন, এবং দায়িত্ব পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই তিনি নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

মাসকয়েক থেকেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন অনামী মাওবাদী পোস্টার পাওয়া যাচ্ছে। কখনো দেওয়া হচ্ছে বন্ধের ডাক, আবার কখনো বেশ কয়েক দফা দাবি করা হয়েছে এই সমস্ত পোস্টারে। মাওবাদী আন্দোলনে এই সমস্ত পোস্টার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝারগ্রাম নয়, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও সংগঠন বিস্তার করার চেষ্টা করছে মাওবাদীরা। এছাড়াও, মাওবাদীদের পশ্চিমবঙ্গ বিহার এবং উড়িষ্যা সীমানা কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।

এই সমস্ত পোস্টারে বারবার পঞ্চায়েত স্তরে শাসক দলের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যাকে তুলে ধরা হচ্ছে এই সমস্ত পোষ্টারের মাধ্যমে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, আত্মসমর্পণের সরকারি প্যাকেজ প্রত্যাখ্যান করা এই সমস্ত পুরনো কর্মী এবং সমর্থককে সংগঠিত করে আবারও নতুন করে সংগঠন তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে মাওবাদীরা। এর জন্য তরুণদের দলে টানার কৌশল নিয়েছে তারা। চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই বাঁকুড়ার বারিকুল থানা এলাকায় মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল শিবু মূর্মুকে। তার কাছ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্টার এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দারা। জঙ্গলমহলে তরুণদের টানতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করছে শহরের মাওবাদী নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে জঙ্গলমহলে যাতায়াত করা পর্যবেক্ষকদের উপরে ও নজরদারি রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে গোয়েন্দাদের তরফ থেকে।