অমিত শাহের উপস্থিতিতেই উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে ভাঙন- প্রকাশ্যে শীর্ষ নেতাদের কোন্দল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 06/11/2020   শেষ আপডেট: 06/11/2020 5:47 a.m.
-twitter

ঘর সামলাতে শুক্রবার রাজ্যের নেতাদের কি বার্তা দিয়ে যান তিনি, সেটাই দেখার

বাঁকুড়ায় অমিত শাহ ঘোষণা করছেন ২০০-র বেশি আসন পেয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করবে বিজেপি। আর একইদিনে বিজেপির ঘাঁটি উত্তরবঙ্গে বিজেপি ছেড়ে বিমল গুরুং-এর হাত ধরলেন ১৭ জন বিজেপি কাউন্সিলার! এদিকে বিজেপির রাজ্য নেতাদের মধ্যেকার তিক্ততাও অমিত শাহের চোখে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে সবটা মিলিয়ে অমিত শাহের সামনে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মুখে।

অমিত শাহ বাঁকুড়ায় থাকাকালীনই দার্জিলিং পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলার বিজেপি ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় ফিরে এলেন। তাঁদের দাবি, ১৭ বছর NDA কে সমর্থন করার পরেও বিজেপি তাঁদের নিয়ে ভাবেনি। কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। তাই ২০২১ এর ভোটে এই ১৭ জন কাউন্সিলার বিমল গুরুংয়ের মতোই তৃণমূলকে সমর্থন করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে।

অন্যদিকে রাজ্য-বিজেপি দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায় এখন দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে, সে-খবর আগেই ছিলো অমিত শাহের কাছে। তিনি একজোট হওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এইদিন বাঁকুড়ায় অমিত শাহের চোখে পড়েছে দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়-রাহুল সিনহাদের এক মঞ্চে থেকেও আলাদা থাকার ছবি। স্বভাবতই ভীষণই ক্ষুব্ধ তিনি। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও দলীয় বৈঠকে তিনি রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দেন।

অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরে বাকি আর একদিন। তাতেও দক্ষিণেশ্বর থেকে শুরু করে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়ি, সবমিলিয়ে টাইট স্কেডিউল। এর মধ্যে কিভাবে রাজ্য বিজেপিতে তৈরি হওয়া এই ফাটলের মেরামত করেন তিনি সেটাই দেখার।