অনলাইন গেমের নেশায় বাজি লড়তে গিয়ে নাবালক খুনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 17/06/2021   শেষ আপডেট: 17/06/2021 10:22 a.m.

দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দিরবাজার এলাকার ঘটনা

বর্তমানে অনলাইন গেমিং-এ (Online Game) আসক্ত যুব সমাজের একটা বড় অংশ। কিশোর থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। এবার এই অনলাইন গেমে বাজি ধরে প্রাণ খোয়াল এক কিশোর বলে অভিযোগ। ১০ হাজার টাকা বাজি রেখে অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে নাবালক বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল আর এক নাবালকের তেমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দিরবাজার এলাকায়। সূত্রে খবর, ওই এলাকার মৌজপুরের কয়েকজন কিশোর অনলাইন গেমের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত। যত্রতত্র 'ফ্রি ফায়ার' খেলার নেশায় ভিড় জমাতো। সেই সূত্রে সোমবার রাতে সুরজ লস্কর নামে এক কিশোর তার বন্ধু রোহিত লস্করের বাড়িতে ফ্রি ফায়ার খেলতে যায়। রাত গড়িয়ে গেলেও সুরজ বাড়ি ফেরেনি। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় সুরজের বাড়ির লোকজন খোঁজখবর শুরু করেন। এমনকী সুরজের বাড়ির লোকজন বন্ধু রোহিতের বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে রোহিত জানায় সে সুরজের কোন খবর জানে না। বাধ্য হয়ে সুরজের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি। বাধ্য হয়ে সুরজের পরিবার ও প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় সুরজের খোঁজ মেলে। যদিও সুরজের দেহে ততক্ষণে আর প্রাণ নেই। রোহিত লস্করের বাড়ির পাশে রেল লাইনের ধারেই পড়েছিল সুরজের নিথর দেহ।

এই ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ এসে সুরজের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে খবর। এই অবস্থায় সুরজের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। প্রতিবেশি এবং সুরজের পরিবারের লোকজন আঙুল তোলে রোহিতের দিকে। এমনকী সন্ধ্যার সময় সুরজকে রোহিতের বাড়িতে যেতে দেখেছে স্থানীয়রা জানায়। সন্দেহের তির রোহিতের দিকে যাওয়ায় নাবালক রোহিত লস্কর ও তার আর এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি পাড়ার একদল কিশোর অনলাইন গেমের নেশায় সবসময়ই বুঁদ হয়ে থাকত। একদিকে স্কুল বন্ধ, অপরদিকে অনলাইন গেমের নেশায় পাড়ার কিশোরদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত পাড়ার লোকজন। তবে গেমের নেশা যে মৃত্যু পর্যন্ত গড়াতে পারে তা কল্পনাও করেনি মৌজপুরের বাসিন্দারা। পুলিশের প্রাথমিক জেরায় জানা গেছে টাকা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে বচসা হয়। আর তার ফলশ্রুতিতেই এই ঘটনা। যদিও পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।