ভাঙল অজয়ের বাঁধ, বীরভূম বাঁকুড়ার বহু এলাকা প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 01/10/2021   শেষ আপডেট: 01/10/2021 11:30 a.m.
অজয় নদ https://www.facebook.com/jeet.patra.39750

রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলি প্লাবিত, তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি

পূর্ব মেদিনীপুরের কেলেঘাই, বাগুই প্রভৃতি নদীবাঁধ ভাঙনের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। পটাশপুর, ভগবানপুর, চন্ডীপুর, এগরা, কাঁথি প্রভৃতি বিস্তীর্ণ এলাকায় গত প্রায় দশ দিন বিদ্যুৎশূন্য। তবে ধীরে ধীরে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। অন্যদিকে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে গত দিন দুয়েকের বৃষ্টি এবং ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাড়ছে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। ক্রমশ নড়বড়ে হয়েছে নদীবাঁধ। এরমধ্যেই অজয় নদের নদীবাঁধ ভাঙনের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার প্লাবিত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ভেঙেছে কাঁচাবাড়ি, ডুবেছে নির্মীয়মাণ লোহার সেতুর কাঠামো। জলের তলায় অসংখ্য গ্রাম। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে অজয়ের বাঁধ ভেঙে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে জলস্তর। শুক্রবার সকালে বীরভূমের নানুরের থুপসরা পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামের কাছে অজয় নদের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। জল ঢুকে প্লাবিত এখনও পর্যন্ত ১৮ থেকে ২০টি গ্রাম। সবথেকে খারাপ অবস্থা সুন্দরপুর গ্রামের। ভেঙে পড়েছে বেশিরভাগ মাটির বাড়ি। ডুবেছে চাষের জমি। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কাছে অজয় নদে ফাটল দেখা গেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্নে আছেন সাধারণ মানুষ। সেচ দফতরের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কীভাবে বাঁধ মেরামত করা যায় তার চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার সকালে আউশগ্রামের মঙ্গলকোট এলাকার মালিয়ারা, গণপুরে অজয় নদের বাঁধ ভাঙার খবর এসেছে। এইসব এলাকায় গতকাল থেকেই বিপদসীমার উপর দিয়ে জল বইছিল। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা ছিলই যেকোন সময় ভাঙতে পারে অজয়ের বাঁধ। আতঙ্কে বহু মানুষ এলাকা ছেড়েছেন। আউশগ্রামের সাঁতলা অঞ্চলে অজয়ের বাঁধ ভেঙেছে। বহু মানুষকে সাঁতরে উঁচু স্থানে উঠে আসতে দেখা গেছে। এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক।

অন্যদিকে বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকাও প্লাবিত। সোনামুখী, পত্রসায়ের প্রভৃতি এলাকা জলের তলায়। বাঁকুড়া শহরের বহু এলাকা অতি বৃষ্টিতে প্লাবিত। গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর প্রভৃতি নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। দ্বারকেশ্বরের জলের কারণে হুগলির বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকেছে। ডিভিসি জল ছাড়ায় হুগলি, হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।