লখিমপুর কৃষক হত্যা : স্বয়ংচিন্ত মামলা দায়ের সুপ্রিম কোর্টের, শুনানি আজ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 06/10/2021   শেষ আপডেট: 07/10/2021 8:11 a.m.
https://twitter.com/aartic02

বেঞ্চের নেতৃত্বে স্বয়ং ভারতের প্রধান বিচারপতি

উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির সাম্প্রতিক হিংসাত্মক ঘটনায় স্বয়ংচিন্ত মামলা দায়ের করল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার প্রথম শুনানি হবে ৭ অক্টোবর অর্থাৎ আজ। বিচারপতি বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। তাঁর সাথে থাকবেন আরও দুই বিচারপতি, সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলি।

৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকায় রাজ্যের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যকে উদ্দেশ্য করে রাস্তায় আন্দোলনরত কৃষকদের উপর দিয়ে চলে যায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদ অজয় কুমার মিশ্রার ছেলের গাড়ি। মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষে ঘটনাস্থলেই প্রান হারান আন্দোলনরত চার কৃষক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষকদের সাথে বিজেপি কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। যার জেরে প্রান হারান আরও চার জন (নিহতদের মধ্যে তিনজন বিজেপি কর্মী)। মোট আট জনের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে কেঁপে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। কেন্দ্র সরকারকে একযোগে আক্রমণ শুরু করে দেশের সমস্ত বিরোধী শক্তি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রার পদত্যাগেরও দাবী করা হয়। এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, মর্মান্তিক এই ঘটনার পরেই আহত এবং নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করতে ৪ অক্টোবর লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তবে সিতাপুরে তাঁর রাস্তা আটকায় যোগী পুলিশ। প্রায় ৩০ ঘণ্টা তাঁকে নির্বাসনে রাখার পর গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুমতি চেয়েও পাননি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরনজিত সিং ছান্নি। উত্তরপ্রদেশের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় তাঁরও পথ আটকায় যোগী পুলিশ। সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আজ নিহত কৃষকদের পরিজনদের সাথে সাক্ষাতের করেছেন রাহুল গান্ধী। ঘটনাস্থলে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

এদিকে ৩ তারিখ ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত ছেলের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছেন অজয় কুমার মিশ্রা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে নগদ ৪৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজন করে সদস্যকে সরকারী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।