গতকাল সকালে বেহালায় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক স্কুল পড়ুয়ার। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই পড়ুয়ার বাবা। গতকাল থেকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল গোটা এলাকা। ব্যাপক জনরোষের মধ্যে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয় পুলিশকে।
গতকাল নিহত শিশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। শিশুটির বাবার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় ঘাতক গাড়ির অভিযুক্ত চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এই ঘটনার পর এবার বেহালা চৌরাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট। বড়িশা হাইস্কুলের সামনেও বসানো হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট। লালবাজারের নির্দেশ, এবার থেকে সকাল ৬টার পর কলকাতায় ঢুকবে না কোনও ট্রাক। সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, কলকাতার সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন অফিসারকে।
বলাবাহুল্য, গতকালই বেহালার ঘাতক ট্রাকের চালক ও খালাসিকে আটক করে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তদের আলিপুর কোর্টে পেশ করার পর, ধৃতদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃতদের আরও জেরা করতে চান তদন্তকারী অফিসারেরা।