ক্ষতি করতে এলে ভারত কাউকে ছাড়বে না: চিনকে কড়াবার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 16/04/2022   শেষ আপডেট: 16/04/2022 8:17 a.m.
@twitter

এবারে কার্যত প্রকাশ্যেই চিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

চিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন, এ প্রশ্ন বহুবার তুলেছেন বিরোধীরা। এ বার চিনকে সরাসরি হুমকির বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় কনস্যুলেটে তাঁর সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানেই তিনি চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সাহসিকতার কথা উত্থাপিত করেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, "তাঁরা (ভারতীয় সৈন্যরা) কী করেছেন এবং আমরা (সরকার) কী সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা আমি খোলাখুলি বলতে পারি না। তবে এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে (চিনের কাছে) একটি বার্তা গেছে যে ভারতের ক্ষতি হলে ভারত কাউকে ছেড়ে দেবে না।" প্রসঙ্গত, প্যাংগং হ্রদ এলাকায় হিংসাত্মক সংঘর্ষের পর ২০২০ সালের মে মাসে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে লাদাখ সীমান্তে স্থবিরতা শুরু হয়। ওই বছরের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় উভয় পক্ষের সৈন্য সংঘর্ষের পর এই স্থবিরতা আর‌ও বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য এবং বেহিসেবি চিনা সেনা নিহত হয়। পূর্ব লাদাখের এই অচলাবস্থা সমাধানের জন্য ভারত ও চিন এখনও পর্যন্ত ১৫ দফা সামরিক আলোচনায় বসেছে।

প্রসঙ্গত, এদিন সানফ্রান্সিসকোতে ভাষণ দেওয়ার সময় রাজনাথ সিং উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে ভারত আগের থেকে আর‌ও বেশী অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাঁর কথায়, "ভারতের চিত্র পাল্টে গেছে। ভারতের মর্যাদা বেড়েছে। আগামী কয়েক বছরে, বিশ্বের কোনো শক্তিই ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকে শীর্ষ তিনটি দেশে পরিণত হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না।" অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থা প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জবাব, "একটি দেশের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক থাকলে, তার মানে এই নয় যে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হবে। ভারত কখনই এই ধরণের কূটনীতি গ্রহণ করেনি। ভারত কখনই এটি (কূটনীতি) পছন্দ করবে না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জিরো-সাম গেমে বিশ্বাস করি না।"