হিজাব বিতর্কের পর এবার বাইবেল, পড়ুয়াদের বাইবেল নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক কর্ণাটকের এই স্কুলে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 25/04/2022   শেষ আপডেট: 25/04/2022 8:10 a.m.

বেঙ্গালুরুর ক্ল্যারেন্স স্কুলে জারি করা হয়েছে এমন নিয়ম

হিজাব (Hijab) বিতর্কের পর ফের ধর্মীয় সুড়সুড়ি কর্ণাটকের (Karnataka) বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলে। ক্ল্যারেন্স স্কুল নামক বিদ্যানিকেতনে শিক্ষার্থীদের বাইবেল (The Bible) নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারা। এমনকি অভিভাবকদের কাছ থেকে হলফনামাও নেওয়া হয়েছে যেখানে উল্লেখিত রয়েছে, ছাত্ররা স্কুলে বাইবেল নিয়ে যেতে কোনও আপত্তি করবে না। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডানপন্থী দলগুলো। নয়া এই নির্দেশটির পরিপ্রেক্ষিতে ডানপন্থী সংগঠনগুলির অভিমত, এতে কর্ণাটক শিক্ষা আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে।

তাঁরা অভিযোগ তুলছেন, শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মীয় শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি শিক্ষা দফতরের কাছে স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির রাজ্য মুখপাত্র মোহন গৌড়া দাবি করেছেন যে স্কুলটিতে অ-খ্রিস্টান শিক্ষার্থীদের বাইবেল পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে, যা অসাংবিধানিক। পুনশ্চ, একাদশ শ্রেণীর ভর্তির আবেদনপত্রে, পিতামাতার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দাখিল রয়েছে, যেখানে লেখা আছে, "আপনি নিশ্চিত করছেন যে আপনার সন্তান তার নিজের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক কল্যাণের জন্য মর্নিং অ্যাসেম্বলি, স্ক্রিপচার ক্লাস এবং ক্লাব-সহ সমস্ত ক্লাসে উপস্থিত থাকবে এবং ক্ল্যারেন্স হাই স্কুলে থাকার সময় বাইবেল এবং স্তোত্রের বই বহন করতে আপত্তি করবে না।"

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই গুজরাট সরকারের তরফে সরকারি স্কুলগুলিতে দ্বাদশ শ্রেনীর পাঠ্যক্রমে ভগবদগীতা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। আর এবার হিন্দু জনজাগৃতি সংঘ বাইবেলের বিপরীতে কর্ণাটকের স্কুলগুলিতে গীতা অন্তর্ভুক্তিকরণের কথা ফের তুললেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ লিখেছেন, "ভগবদগীতা বহু বছর ধরে এদেশের মানুষ পাঠ করে। গীতা পাঠক ও বিশ্বের সকল মানুষের জন্য অনূদিত হচ্ছে। মনোবল ও একাগ্রতা দৃঢ় করার জন্য আমরা পাঠ্যসূচির বিষয়ে আলোচনা করব।"