আল‌ওয়ার মন্দির ধ্বংসের কারণ খুঁজতে ৫ সদস্যের তদন্তকারী দল নির্মাণ বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 23/04/2022   শেষ আপডেট: 23/04/2022 8:30 a.m.
https://twitter.com/amitmalviya

রাজস্থানের বিজেপি সভাপতি সতীশ পুনিয়ার কাছে রিপোর্ট জমা করবে তদন্তকারী দল

রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ারের রাজগড়ে ৩০০ বছরের পুরনো শিব মন্দির ভাঙার ঘটনায় ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। এই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজগড়ে যাবে এবং সেখানকার ঘটনা খতিয়ে দেখার পর কমিটি রাজ্য বিজেপি সভাপতির সতীশ পুনিয়ার কাছে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেবে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজেপি নেতা সঞ্জয় নাড়ুকা জানান, "কমিটিতে চন্দ্রকান্ত মেঘওয়াল, রাজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, ব্রজ কিশোর উপাধ্যায় এবং ভবানী মীনা রয়েছেন।"

মন্দির ভাঙার ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। ট্যুইটে লেখেন, "কারৌলি এবং জাহাঙ্গীরপুরিতে চোখের জল ফেলা এবং হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত করা -- এটাই কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতা।" অন্য একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, "১৮ এপ্রিল কোনো নোটিশ না দিয়েই রাজস্থানের রাজগড় শহরে ৮৫ টি হিন্দুর পাকা বাড়ি ও দোকানের ওপর বুলডোজার চালায় প্রশাসন।"

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালাও অভিযোগের সুর তোলেন। তিনি লেখেন, "দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে বুলডোজার = সাম্প্রদায়িক, হিন্দু বিশ্বাসের উপর বুলডোজার = ধর্মনিরপেক্ষ।" এদিকে রাজস্থানের কংগ্রেস প্রধান জিএস দোতাসারা বলেন, "আলওয়ার মন্দিরের দখল বিজেপি সরকারের আগের শাসনামলে শুরু হয়েছিল...কংগ্রেস যে প্রথম মন্দির ও মূর্তিগুলিকে অপসৃত করছে এমন কথা বলা ভুল। এটা সব সময়ই বিজেপির এজেন্ডা ছিল...নির্বাচন এলেই তারা রাজনৈতিক চাপান‌উতোর তৈরি করতে ধর্মীয় অশান্তি ছড়ায়।" তাঁর সংযোজন, "কোন কালেক্টরের থেকে (মন্দির ধ্বংসের জন্য) অনুমতি চাওয়া হয়নি বা দেওয়া হয়নি, মিউনিসিপ্যাল ​​বোর্ড, তার সভাপতির আদেশের পরে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে, বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আমরা মূর্তিগুলো ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছি।"

প্রসঙ্গত, আলওয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, একটি মতানৈক্যের পরে মন্দিরটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, গত ৬ এপ্রিল সব অনুপ্রবেশকারীদের ব্যক্তিগতভাবে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, মন্দির ভাঙার সময় কোনো প্রতিবাদ আসেনি। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কথায়, "অধিগ্রহণ অপসারণের সময়, তিনটি পূর্ব-নির্মিত মন্দিরের উপর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে একটি নবনির্মিত মন্দিরও ছিল। ড্রেনের উপর নির্মিত ব্যক্তিগত মন্দিরে স্থাপিত মূর্তিগুলি অপসারণের আগে নির্মাতারা নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছিলেন।" তাঁর সংযোজন, "গত ১৭-১৮ এপ্রিল‌ই মন্দিরসহ সমস্ত সীমানা ভেঙে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু এর পাঁচ দিন পরে, এই ঘটনার জন্য হৈচৈ শুরু হয়‌।"