কোভিড পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (work from home) চলছিল। প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কাজে যাবার মুহূর্তে হঠাৎ-ই পা পিছলে পড়ে যান। তিনি কোমরে প্রচন্ড চোট পান। তিনি অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে এর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু অফিস সেই ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, অফিসের কাজ করতে গিয়েই তিনি চোট পেয়েছেন। সুতরাং তিনি অফিসের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতেই পারেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর দেড়েক গোটা বিশ্বেই জরুরি অবস্থা চলছে। অধিকাংশ অফিস ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। বাড়ি বসেই কাজ করছেন অধিকাংশ কর্মচারীরা। তবে এই ঘটনাটি জার্মানির। জার্মানির (Germany) এক সংস্থায় কাজ করেন সেই ব্যক্তি। বাড়ি বসেই অফিসের ডিউটি করতে হচ্ছে। তেমনই সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজ করতে গিয়ে তিনি কোমরে চোট পান। তাই আদালতের নির্দেশ সেই সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে বাড়িতে থাকলেও তখন তিনি অফিসের কাজে যুক্ত ছিলেন। তাই বিষয়টিকে ওই সংস্থার এড়িয়ে গেলে চলবে না।
আদালতের তরফে ওই সংস্থাকে সাফ জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠেই অফিসের কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তিনি ঘুম থেকে উঠেই নিজের নিত্যদিনের কর্ম ব্রেকফাস্ট কিংবা অন্যান্য কাজ করতে যান নি। সেদিক থেকে গোটা বিষয়টিকে অফিসের আওতায় ধরতে হবে। ওই সংস্থার অস্বীকার করার কোন যুক্তি নেই। যদি সেই ব্যক্তি অফিসের কাজে না গিয়ে নিজের কোন ব্যক্তিগত কাজে যেতেন , তাহলে হয়তো সংস্থার এই দাবি মানা যেত। এক্ষেত্রে তা কোনভাবেই মান্যতা দেওয়া সম্ভব নয়। এমন ঘটনায় উদ্দিষ্ট ব্যক্তি বহু লড়াইয়ের পর এমন সাফল্য পেলেন।