বিয়ে হয়েছিল ২০১৬ সালে। মোটামুটি সুখের সংসার। ঠিক বছর খানেক পরেই তাঁদের সন্তান হল। শুরু হল নানা কারণে বনিবনার অভাব। বিষয়টি গড়াল আদালত পর্যন্ত। খোরপোশের দাবি জানিয়ে আদালতে দায়ের হল মামলা। নিম্ন আদালতে সেই খোরপোশের সিদ্ধান্তে শিলমোহর পড়ে। মামলা ওঠে উচ্চ আদালতে। যেখানে বিচারকের মানবিক মুখ দেখেই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি কলকাতা নগর দায়রা কোর্টের। যেখানে দম্পতির তিক্ত সম্পর্ককে জোড়া লাগাতে একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারক। এমন ঘটনা তো আকছার ঘটেই। কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার খরচ স্বয়ং বিচারপতি নিজের ট্যাঁক থেকে খরচ করছেন, এ তো নজিরবিহীন। বিচারপতির একটাই বক্তব্য, ভেঙে ফেলা খুব সহজ। কিন্তু জোড়া দেওয়া এতটা সহজ নয়। একটাই প্রার্থনা, আপনারা আবার একসঙ্গে থাকুন।
উত্তর কলকাতার শ্রেয়া গুপ্তর সঙ্গে হুগলির সৌভিক গুপ্তের বিয়ে হয়েছিল ২০১৬ সালে। এক বছর পর তাঁদের একটি ছেলে হয়। কিন্তু দু'জনের কোন কারণেই বনিবনা হচ্ছিল না। যার প্রভাব পড়েছিল তাঁদের শিশু সন্তানের উপর। এদিন আদালতে বিচারক জানান, আপনারা একসঙ্গে ঘুরে আসুন। সম্পর্কগুলো এইভাবে এত সহজে নষ্ট করে দেবেন না।
![Rudranil Ghosh and Debangshu Bhattacharya](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/04/10/Screenshot_20220410-100149_Quotes_Creator.jpg)
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
এরপর তিনদিনের জন্য তাঁদের কোথাও একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাঁকুড়া যাবেন বলেও ঠিক হয়েছে। আর গোটা ঘুরতে যাওয়ার খরচ দেবেন বিচারক নিজেই। বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের এই নির্দেশের পর আদালত চত্বরে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। তাঁর একটাই কথা, এভাবে সম্পর্কগুলো নষ্ট করবেন না। ভেঙে ফেলা খুব সহজ, কিন্তু জুড়তে হলে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়।