বাংলাদেশের (Bangladesh) কুমিল্লায় রাতের অন্ধকারে পুজোমণ্ডপে ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান শরীফ রেখে আসা লোকটিকে চিহ্নিত করা গেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা গেছে। বুধবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, "লোকটির নাম ইকবাল হোসেন। বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা শহরের সুজানগরে।" তবে এখনও পর্যন্ত সেই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে কী না জানা যায়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল? পুজোর সময় স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান শরীফের অপমান করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় অষ্টমীর রাতে বহু পুজোমণ্ডপ ভাঙচুর করে একদল দুষ্কৃতী। এমনকী এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের প্রাণ যায়। ঘটনার আঁচ পেয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় সেনা নামানো হয়। এরপরও থামানো যায়নি এমন উস্কানিমূলক ঘটনা। দশমীর দিন বাংলাদেশের নোয়াখালির চৌমুহনীতে একটি ইসকনের মন্দিরে প্রায় পাঁচ শতাধিক দুষ্কৃতীদের একটি দল এসে হামলা চালায়। এই হামলায় একজনের মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। মন্দির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিলেন, পার্থ দাস নামে একজন ইসকনের সদস্য এই দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। তাঁর দেহ মন্দিরের পাশে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
ঘটনার তদন্তে প্রথম থেকেই বাংলাদেশ বলে আসছিল এই ঘটনার পেছনে বড় কোন ষড়যন্ত্র আছে। এমনকী পাকিস্তানের যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের তরফে বারবার বলা হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট করার উদ্দেশ্য নিয়ে এমন কাজ করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তবে তদন্তের পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রকৃত দুষ্কৃতীর পরিচয় জানা গেছে বলে খবর। তবে তাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। এমনকী তার মানসিক সমস্যা আছে। তবে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের সঙ্গে ঠিক কাদের যোগাযোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঢাকায় শান্তি মিছিল করা হয়েছে। এমন মৌলবাদী ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বহু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন একাংশ।