বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর মৌলবাদীদের অত্যাচার এবং হিংসার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল হাসিনা পরিচালিত আওয়ামি লিগ সরকার। সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
দুর্গাপূজার সময় থেকে বাংলাদেশে চলে আসা হিংসা পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে এদিন মন্ত্রীসভার বৈঠক করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই আসাদুজ্জামানকে হাসিনার নির্দেশ, প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে জড়িত দুষ্কৃতীদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষ হওয়ার পর পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী যত শীঘ্র সম্ভব তদন্ত করে, হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এই প্রসঙ্গে নিজস্ব মতবিনিময় করার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি সে দেশে হিংসার ঘটনায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগও। দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবেন তাঁরা। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য করে ওয়াবদুলের বার্তা, “হিন্দু ভাইদের বলব, আপনাদের ভয় নেই। শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন”।
তবে শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমেও নিজেদের প্রমান দিচ্ছে হাসিনা সরকার। হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৭১ টি মামলা দায়ের হয়েছে দেশজুড়ে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত পাঁচদিনে ৪৫০-এরও বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজার সময় থেকেই রংপুর, চিটাগং, কুমিল্লা-সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তি। দেবীমূর্তি ভাঙা থেকে শুরু করে পুজাস্থল লণ্ডভণ্ড, মন্দির ভাঙচুর এমনকি ইসকনের সদস্যদের খুন করার মতও সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে বাংলাদেশী মৌলবাদীরা। তবে সেই সন্ত্রাসে লাগাম দিতে এবার তৎপর হাসিনা সরকার।