করোনাকালে যেমন কাজ না থাকলে বাড়ির বাইরে বেরোনো উচিত না বা বেরোলেও মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব জরুরী, ঠিক তেমন এই সময় একটু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। আমরা প্রোটিন জাতীয় খাবার অনেক খেলেও এবার থেকে খেয়াল রাখতে হবে যে কোন খাদ্যে জিঙ্ক আছে। আসলে মানুষের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তাই এই করোনাকালে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। এছাড়া এই জিঙ্ক পেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এই জিঙ্ক প্রোটিন সিনথেসিস, ডিএনএ সিন্থেসিস, কোষ বিভাজন ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে সহজলভ্য ৫ টি খাবার সম্বন্ধে জেনে নিন যাতে জিঙ্ক বেশিমাত্রায় থাকে।
১) মাংস ও ডিম: মাংস এবং ডিম হল বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এতে ৯ টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এছাড়া এই সমস্ত খাবার জিঙ্ক সমৃদ্ধ হয়। শরীরের জিঙ্ক প্রয়োজনের ৫ শতাংশ চাহিদা মেটাতে পারে এই সমস্ত খাবার।
২) নানা ধরনের বীজ: কুমড়ো বা তিলের বীজ শরীরের জন্য খুবই ভালো কারণ এতে উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক থাকে। আমাদের দৈনিক প্রয়োজনের ১৩ শতাংশ আমরা এই ধরনের বীজ খেলেই পেতে পারি। জিঙ্ক ছাড়াও এই বীজে আইরন, ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। এগুলি মানুষের শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) ডার্ক চকলেট: এখনকার প্রজন্মের প্রিয় খাবার হলো এই চকলেট। বিভিন্ন কোম্পানির ডার্ক চকলেটের ১০০ গ্রাম বারে ৩.৩ এমজি জিঙ্ক থাকে। এই চকলেট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমে যায়। এছাড়া এটি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়।
৪) ডাল জাতীয় খাবার: আমাদের শরীরের জিঙ্ক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় খাবার। ডালে জিঙ্কের পাশাপাশি প্রোটিন, ভিটামিন, আইরন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়।
৫) সামুদ্রিক শামুক ঝিনুক: প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিঙ্ক পাওয়া যায় শামুক-ঝিনুক এ। একটি মাত্র ঝিনুকে আমাদের প্রয়োজনের ৫০ শতাংশ জিঙ্ক থাকে। এছাড়াও এই সমস্ত খাবার খেলে সেলেনিয়াম পাওয়া যায় যা ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।