আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে আরও একধাপ। এবার স্যোশাল মিডিয়ায় রাজত্ব করায় গুগল-অ্যাপল জাতীয় সংস্থার ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্লে-স্টোরের ধাঁচে একটি ভারতীয় অ্যাপসমৃদ্ধ স্টোর বাজারে আনল ভারত সরকার। চীনা অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আগেই টিকটক সহ দুশো'র বেশি অ্যাপ ভারতে অবৈধ বলে ঘোষিত হয়েছে। একইসাথে মেসেজিং, ভিডিও রেকর্ডিং, ডকুমেন্ট স্ক্যানিং, শেয়ারিং ইত্যাদি নানাবিধ প্রয়োজনীয় ও এজন্য ব্যবহৃত বহুল জনপ্রিয় অ্যাপগুলির বিকল্প অ্যাপ ভারতীয় পদ্ধতিতে নির্মিত হয় এবং তার ব্যবহারও বাড়তে থাকে এদেশে। এরকমই ৯৬৫ টি ভারতীয় অ্যাপ্লিকেশন একসাথে একটি স্টোরে উপলব্ধ হবে। এই স্টোরের নাম দেওয়া হয়েছে 'মোবাইল সেবা'।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
কীভাবে কাজ করে এটি? যেকোনো নতুন অ্যাপ মোবাইলে ইন্সটল করতে গেলে আমাদের গুগল প্লে স্টোর (অ্যানড্রয়েডের জন্য) বা অ্যাপল স্টোর(আইফোনের জন্য)-এ যেতে হয়। এবার প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলির ভারতীয় বিকল্প মিলবে মোবাইল সেবাতে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ রাজ্যসভায় বলেন, এর ফলে আগামিদিনে টেক জায়ান্ট গুগল ও অ্যাপেলের উপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমবে দেশবাসীর।
কিন্তু কেন নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা? চীনের সাথে সংঘাতের জেরে তাদের অ্যাপ বর্জন করে ভারতের অ্যাপ গ্রহণে তৎপর হয়েছিল মোদী সরকার। এবার ভবিষ্যতে অ্যাপল বা গুগলের সাথে সম্পর্কে অবনমন ঘটলেও থেমে থাকবেনা ভারত। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে এই পদক্ষেপ আগামীতে সুফলদায়ী, মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য ও সরকারি ওয়েবসাইটে সমস্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে এবং সেখান থেকেই সকলের ফোনে ডাউনলোড করা যাবে এটি।