প্রায়ই দিদা ঠাকুমাদের মুখে বলতে শোনা যায় যে মেয়েদের আসল সৌন্দর্য্য নাকি চুলে। কালবৈশাখীর মেঘের মত কালো লম্বা একঢালা চুল পেতে কার না ভালো লাগেনা। তবে আমাদের এই ইঁদুর দৌড়ের জীবনে ঘর আর বাইরে সামলাতে গিয়ে আলাদা করে চুলের যত্ন নেওয়া হয়না সেভাবে। ফলে মাথার চেয়ে বাড়ির মেঝেতেই বেশি চুল থাকে। কিন্তু সামনেই পুজো। হাতে সময়ও বিশেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে পার্লারে যাওয়া খুব একটা নিরাপদ নয়। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই হবে বাজিমাত।
- মাথা থেকে রোজই ৫০- ১০০ টা চুল ঝরাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর থেকে বেশি যদি চুল ঝরে তাহলে সেই অবস্থাকে বলে অ্যালোপেসিয়া। এর থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে কার্যকরী হল কারি পাতা। কারিপাতা ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন সমৃদ্ধ। নারকেল তেলের মধ্যে কারি পাতা মিশিয়ে মাথায় মাখলে চুল পড়া রোধ করা যায়
- চুলের যত্নে পেঁয়াজের জুড়ি মেলা ভার। পেঁয়াজের রস আর নারকেল তেল একসঙ্গে ফুটিয়ে চুলে লাগালে চুল পরার হার কমে।
- মেথি হল চুলের জন্য আরও একটি উপকারী শস্য। মেথি গুঁড়ো করে নারকেল তেলে মিশিয়ে মাথায় মাখলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে।
- এছাড়াও চুল ভালো রাখতে চাইলে শুধু বাইরে নয় শরীরকে ভেতর থেকে ফিট রাখতে হবে। খাদ্যাভাসে আনতে হবে পরিবর্তন। খেতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে শাকসবজি। ভিটামিন এ, ভিটামি বি এবং ক্যারোটিন যুক্ত খাবার খাওয়াটাও চুলের জন্য জরুরি।
- কমাতে হবে মানসিক চাপ। চাপমুক্ত থাকাটা সবচেয়ে জরুরী। অতিরিক্ত স্ট্রেস চুল ঝরার পরিমাণকে বাড়িয়ে দেয়।
- স্ট্রেটনার, ড্রায়ার, কার্লার - এই ধরণের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে। চুলে ব্যবহার করতে হবে উপযুক্ত সিরাম।