দারিদ্রতার সঙ্গে নিত্যদিনের সহবাস। একদিন অটো না চালালে, বাড়িতে হয়না অন্ন সংস্থান। আর সেই ভরসা যোগ্য ছেলে বৃহস্পতিবার সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতার জেরে বাড়িতে মিথ্যে বলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নবান্ন অভিযানে। সেখানেই পুলিশের লাঠিতে আহত হন মইদুল। এরপর তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়িতে মা, স্ত্রী, দুই সন্তান ও এক ভাগ্নিকে নিয়ে মইদুলের সংসার। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু পরিবারকে কার্যত রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
তবে ভেঙে যাওয়া এই সংসারের ভরসা এখন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, 'মইদুলের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর। মৃত্যু সব সময় দুঃখের। আমি সকালে সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। বলেছি, কী ভাবে মারা গিয়েছে সেটা পোস্ট মর্টেম হওয়ার পরে বোঝা যাবে। ওরা পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি। বাড়ির লোককেও জানানো হয়নি ২দিন আগে। আমি সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি তাঁদের একজন সদস্যকে চাকরি দিতে রাজি আছি। আর্থিক সাহায্য করতেও রাজি আছি।’